• অগ্নিগর্ভ নেপালে আটকে বাংলার তিন গবেষক! উৎকণ্ঠায় পরিবার, অভয়বার্তা পুলিশের
    প্রতিদিন | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: সেমিনারে গিয়ে নেপালে আটকে পড়লেন বাংলার তিন গবেষক। গত দু’দিন ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল ‘এভারেস্টের দেশে’। যদিও আজ বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও শান্ত। কিন্তু এখনও থমথমে পরিস্থিতি। চারপাশ জুড়ে ছড়িয়ে ধ্বংসাবশেষ। চলছে সেনাবাহিনীর নজরদারি। আতঙ্কে দ্রুত নেপাল ছাড়ছেন ভারতীয় নাগরিকরা। কিন্তু এখনও সে দেশে আটকে রয়েছে আলিপুরদুয়ারের বারোবিশা, কোচবিহারের দিনহাটা ও জলপাইগুড়ির একজন করে গবেষক। এমনকী তাঁদের সঙ্গে ত্রিপুরার এক গবেষক আছেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে সময় যত গড়াচ্ছে ততই উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারের।

    জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে যান ওই তিনজন গবেষক। তাঁদের নাম মণিহার তালুকদার, সৌভিক চক্রবর্তী এবং ময়ূখ ভট্টাচার্য। আগরতলার যে গবেষক আটকে রয়েছেন তাঁর নাম স্বপ্নজিৎ চৌধুরী। চারজনই পিএইচডি স্কলার। ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রভাব’ সম্পর্কিত বিশ্ব কংগ্রেস (CCIE ২০২৫) এ যোগ দিতে তাঁরা সেখানে যান। গত ৮ সেপ্টেম্বর সেই সম্মেলন শেষ হয়। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ততক্ষণে নেপালের চেনা ছবিটা বদলে গিয়েছে!

    সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত অন্যদিকে দিনের পর সে দেশের মানুষের চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। একেবারে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় প্রতিবেশী দেশে। ফলে আর নেপাল ছেড়ে বেরনো হয় না বাংলা এবং আগরতলার চার গবেষকের। কাঠমান্ডুর পশুপতি নাথ মন্দিরের কাছে একটি হোটেলে আটকে রয়েছেন তাঁরা। বারোবিশার ছাত্রীর বাবা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, “আমরা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। পুলিশ প্রশাসন সবরকম সহযোগিতা করছে।”

    খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। সেখান থেকে সীমান্ত এবং নেপালের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। শুধু তাই নয়, সে দেশে আটকে পড়া নাগরিকদের ফেরানোর সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)