অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: পুজোর সময় সোশাল মিডিয়ায় আসা কোনও গুজব বা ভুয়ো খবরে কান দেবেন না। কোনও গুজব যদি কানে আসে, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা জানান। কলকাতার পুজো কমিটির কর্তাদের অনুরোধ জানালেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
বুধবার কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে ধনধান্য স্টেডিয়ামে বৈঠকে বসেন পুলিশ কমিশনার। উপস্থিত ছিলেন লালবাজারের অন্য পুলিশকর্তা, দমকল, পুরসভা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, সিইএসসি-র কর্তারা। গত বছর ২৯৩৬টি পুজোকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই বছর ‘আসান’-এ এখনও পর্যন্ত ২৬৫২টি পুজো অনুমতি চেয়ে নথি জমা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বড় পুজো মণ্ডপগুলিতে সাইবার সচেতনতার জন্য কিয়স্ক তৈরি করা হবে। তৃতীয়া থেকেই রাস্তায় থাকছে অতিরিক্ত পুলিশ। ২ অক্টোবর দশমী। ৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। ৫ অক্টোবর রেড রোডে কার্নিভাল। ১৫ থেকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে পুজো উদ্যোক্তাদের অনুদানের হিসাব ও খতিয়ান জমা দিতে বলেছে লালবাজার। চাঁদার জুলুম নিয়েও থানাগুলিকে সতর্ক করেছেন লালবাজারের কর্তারা।
এদিন পুলিশ কমিশনার উদ্যোক্তাদের জানান, পুজোর উৎসবের অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। পুজোর ম্যাপও উদ্যোক্তাদের দেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাই পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে। মণ্ডপগুলিতে বিদ্যুতের খোলা তার যাতে না থাকে, পুজোর ভলান্টিয়ারদের সেদিকে নজর রাখতে হবে। মণ্ডপ-সহ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে হাই কোর্টের গাইডলাইন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ কড়াভাবে মানতে বলেন পুলিশ কমিশনার।
এদিন বৈঠকে হিন্দুস্থান পার্ক পুজো কমিটি দাবি করে, যাতে চতুর্থী থেকে মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কলেজ স্কোয়্যার ও সমাজসেবী সংঘের দাবি, ভিড় সামলাতে যেন সিভিক ভলান্টিয়ারের থেকে বেশি সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়।