• পর্ণ ছবির মতো যৌনতার সখ! স্ত্রীকে তুমুল নির্যাতন, পণ না পেয়ে আরও ধনী পরিবারের তরুণীর সঙ্গে প্রেম! স্বামীদের কেচ্ছা ফাঁস
    আজকাল | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক শহরে একাধিক গৃহবধূর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। বিয়ের পরেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন তাঁরা। কেউ তুমুল হেনস্থার শিকার, কেউ বা প্রতারণা। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দুজনেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদে। এক গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁর স্বামী পর্ণ ছবিতে আসক্ত। সেই পর্ণ ছবি দেখেই স্বামী নিত্যদিন নির্যাতন করেন। আরেকজনের অভিযোগ, স্বামী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এই সম্পর্কের জেরে তাঁদের সংসারেও চির ধরেছে। 

    এক গৃহবধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামী নিত্যদিন একাধিক পর্ণ ছবি দেখেন। সেই পর্ণ ছবি দেখেই শারীরিক নির্যাতন করেন তাঁকে। ২০২০ সালে ম্যাট্রিমনি সাইটে আলাপের পর তাঁদের বিয়ে হয়। ধার্মিক তাঁর স্বামীর নাম। বিয়ের কয়েক সপ্তাহ পরেই আরও পণের দাবিতে নির্যাতন শুরু হয় শ্বশুরবাড়িতে। এমনকী তাঁর সোনার গয়না, দামি উপহার সবকিছুই কেড়ে নেন তাঁরা। 

    মালদ্বীপে মধুচন্দ্রিমার জন্য তরুণীর বাবাই টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু মধুচন্দ্রিমায় গিয়েও কোনও সুখস্মৃতি ছিল না‌। রোজ ঝামেলা করতেন ধার্মিক। এরপর ক্যালিফোর্নিয়ায় যাওয়ার পর ধার্মিকের আসল রূপ প্রকাশ্যে আসে। সেখানে যাওয়ার পরেই তরুণীকে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। নিত্যদিন এই অশান্তির পর প্যানিক অ্যাটাকে হাসপাতালেও ভর্তি হন তিনি। 

    তরুণী জানিয়েছেন, রোজ একাধিকবার পর্ণ ছবি দেখেন স্বামী। এই কারণেই শারীরিক সম্পর্কে আর লিপ্ত হতে চাইতেন না। নীল ছবির আসক্তির কারণে নির্যাতন দিনের পর দিন আরও বেড়েই চলে। এমনকী তিনি যখন গর্ভবতী ছিলেন, সেই সময়েও স্বামী তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করেন। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য তরুণী দুর্ঘটনার কবলেও পড়েন। টেক্সাসে ধার্মিকের মা সকলের সমানে কটুক্তি করতেও পিছপা হননি। এরপরই আহমেদাবাদে ফিরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। 

    অন্যদিকে ওই শহরেই এক গৃহবধূ দিন কয়েক আগে স্বামীর ফোনে এক মেয়ের ছবি দেখতে পান‌। এরপরই স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তরুণী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালেই তাঁর বিয়ে হয়। মেঘানীনগরে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। তিনি জানিয়েছেন, স্বামী হিরেন, শাশুড়ি ও ননদ মিলে পণের দাবিতে দিনের পর দিন নির্যাতন করেন তাঁকে। 

    তরুণী জানিয়েছেন, বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়িতে বাবা পণ দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও হিরেনের দাবি ছিল, একটি গাড়ি। সেই দাবি মেটাতে পাঁচ লক্ষ টাকা জোগাড় করে দিয়েছিলেন তরুণী। সেই টাকা দিয়ে হিরেন নিত্যদিন মধ্যপান করতেন‌। মত্ত অবস্থায় তাঁকে মারধরও করতেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিয়ের এক বছর পরেই হিরেনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। 

    এক সপ্তাহ পরেই হিরেনের ফোনে তাঁর প্রেমিকার ছবি দেখতে পান‌। তখনই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করে নেন তিনি। এমনকী তরুণীকে সরাসরি জানিয়ে দেন, সম্পর্কটি মেনে না নিলে তিনি যেন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কাছে অভিযোগ জানিয়ে সমস্যা মিটমাট করতে চেয়েছিলেন তরুণী। এর জেরে হিরেন তাঁকে ব্যাপক মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তারপরেই থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। 
  • Link to this news (আজকাল)