শুনশান রেল স্টেশনে, নেই মহিলা পুলিশ! শৌচালয়ে যেতেই তরুণীর ভয়াবহ পরিণতি, ৩০০ কিমি পথ পেরিয়ে অভিযোগ জানালেন
আজকাল | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুনশান রেল স্টেশনে একা বসেছিলেন তরুণী। স্বামী তাঁকে একা রেখেই কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যান। সেই সুযোগেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন তরুণী। রেল স্টেশনের বাইরে শৌচালয়ের পাশে ধর্ষণের শিকার হলেন তিনি। তবে অভিযোগ জানানোর জন্য ৩০০ কিমি পথ অতিক্রম করতে হল তাঁকে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সিংরাউলি জেলায়। শনিবার সিংরাউলি রেল স্টেশনের কাছে শৌচালয়ের পাশে ২৫ বছর বয়সি এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ২২ বছর বয়সি স্থানীয় এক তরুণের বিরুদ্ধে। তরুণীকে একা রেখেই কিছুক্ষণেই জন্য বাইরে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। সেই সময়েই ঘটনাটি ঘটেছে।
ধর্ষণের শিকার হয়েও সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি তরুণী। ৩০০ কিমি পথ অতিক্রম করে কাতনি শহরে পৌঁছে তরুণের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এফ আই আর দায়ের করেন তিনি। কারণ? তরুণী জানিয়েছেন, সিংরাউলি রেল স্টেশনে কোনও মহিলা পুলিশ ছিল না।
তরুণী আরও জানিয়েছেন, সিংরাউলি থেকে ৩০০ কিমি পথ অতিক্রম করে কাতনিতে পৌঁছনোর পরেও থানায় কোনও মহিলা পুলিশ দেখতে পাননি তিনি। অবশেষে জবলপুর রেল পুলিশ আধিকারিক সঞ্জীবনী রাজপুত রবিবার সকালে তড়িঘড়ি করে কাতনিতে পৌঁছন নির্যাতিতা তরুণীর বয়ান রেকর্ড করার জন্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দম্পতি উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলায় কাজের সূত্রে থাকেন। ছুটিতে মাঝে মাঝে সিধিতে নিজেদের বাড়িতে আসেন। বাড়ি যাওয়ার পথে সিংরাউলিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে পৌঁছন তাঁরা। সেখান থেকে আরেকটি ট্রেন ধরে বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
রেল স্টেশনে তরুণীকে এক জায়গায় বসিয়ে, স্বামী বাইরে গিয়েছিলেন কিছুক্ষণের জন্য। সেই সুযোগে ওই অভিযুক্ত তরুণ তরুণীর মুখ চেপে ধরে। শৌচালয়ের পাশেই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এমনকী নিজের নাম প্রকাশ করে বলে, তার বিরুদ্ধে কেউ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। স্বামী ফিরতেই বিষয়টি তরুণী জানান। কিন্তু সেই রাতে আর অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি। রবিবার অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশে আরও একটি ভয়ঙ্কর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত পুরোহিত মহাকাল আশ্রমের একটি শিব মন্দিরে পুজো করত। জানা গেছে, গত চার বছর ধরে এই মন্দিরের দেখাশোনা করে সে। আশ্রমটি এখনও নির্মীয়মাণ। সেই মন্দিরের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে।
তদন্তে জানা গেছে, দুই নাবালিকা সম্পর্কে তুতো বোন। একজনের বয়স ছয়, অন্যজনের পাঁচ। পরিবারের তরফে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে দুই বোন উঠোনে খেলাধুলা করছিল। সেই সময়ে অভিযুক্ত পুরোহিত প্রসাদ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মন্দিরে ডেকে নিয়ে যায়। পুজোর প্রসাদ খাওয়ার লোভে দুই বোন একসঙ্গে পুরোহিতের সঙ্গেই চলে যায়।
এরপর মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দুই বোনকে একসঙ্গে যৌন হেনস্থা করে। ধর্ষণ করে একে একে। রাতেই কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে পুরোহিতের কীর্তি ফাঁস করে দুই বোন। পরেরদিন সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পকসো ধারায় পুরোহিতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এ নিয়ে তৃতীয়বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল এই পুরোহিতের বিরুদ্ধে। আগের দু'বার থানায় অভিযোগ জানানো হয়নি।