• নগ্ন হয়ে ক্ষেত থেকে বেরিয়ে আক্রমণ মহিলাদের! 'নুড গ্যাং’-এর তান্ডবে ভয়ে কাঁটা মহিলারা
    আজকাল | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মীরাট জেলার দৌরালা এলাকায় সম্প্রতি একের পর এক নারীর উপর হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ‘নগ্ন পুরুষদের একটি গ্যাং’ ক্ষেত থেকে বেরিয়ে এসে মহিলাদের আক্রমণ করছে। গত পনেরো দিনে অন্তত চারটি হামলার ঘটনা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (সেপ্টেম্বর ৮) জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW) সুয়ো মটো পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাতকর উত্তর প্রদেশের পুলিশ মহাপরিদর্শককে (DGP) চিঠি দিয়ে তিন দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কমিশনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিরপেক্ষ, দ্রুত ও সময়সীমাবদ্ধ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।

    রহাতকর আরও জানিয়েছেন, আক্রান্ত অঞ্চলে বিশেষ করে মীরাটে পুলিশ টহল বাড়াতে হবে এবং নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে— “নারীর উপর এ ধরনের আক্রমণ তাঁদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার উপর গুরুতর আঘাত। অবিলম্বে দোষীদের শনাক্ত করে ভারতীয় ন্যায় সঙ্কলন (BNS), ২০২৩-এর উপযুক্ত ধারায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

    এছাড়া, কমিশন উত্তর প্রদেশ পুলিশ প্রশাসনের কাছে তাৎক্ষণিক ও কংক্রিট পদক্ষেপের প্রত্যাশা জানিয়েছে। একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে অথচ প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দৌরালা এলাকায় দীর্ঘ চুলওয়ালা নগ্ন পুরুষদের দ্বারা অন্তত চারটি হামলা ঘটেছে। এসব ঘটনায় গ্রামীণ মহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

    এই নতুন ধারার নারী-নির্যাতন সংক্রান্ত ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে নারীবাদী সংগঠনগুলো। এর আগে গত মাসে নোয়ডায় ২২ বছরের নিক্কি ভাটিকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পুড়িয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় মহিলা কমিশনের নির্দেশে উত্তর প্রদেশ মহিলা কমিশনের সদস্যা ড. মীনাক্ষী ভারালা নিহত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    বিজয়া রহাতকর সে সময় বলেন, পণপ্রথা এখনও সমাজে গভীরভাবে বিদ্যমান এবং তা এক ভয়াবহ সামাজিক অভিশাপ। তিনি জনগণকে পণপ্রথা বর্জন ও প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান। তাঁর মতে—“এই প্রথার পুনরুত্থান সমাজের জন্য আত্মসমীক্ষার বিষয়। বিদ্যমান শক্তিশালী আইনি কাঠামো ব্যবহার করে পণপ্রথা নামক সামাজিক অভিশাপকে উপড়ে ফেলতে হবে।”

    মীরাটের এই নুড গ্যাং-এর হামলা এবং নোয়ডার সাম্প্রতিক পণ-নির্যাতনের ঘটনা আবারও প্রমাণ করছে, নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা আজও বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। জাতীয় মহিলা কমিশন ইতিমধ্যেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে, তবে চূড়ান্ত দায়িত্ব রাজ্য প্রশাসনের ওপর। সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই ধরনের সামাজিক কুপ্রথা ও অপরাধ রোধ করা সম্ভব নয়।
  • Link to this news (আজকাল)