আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের আসরে গান চালানোর সময় নানা ঝক্কি পোহাতে হয় ডিজে-কে। কারণ বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন কিশোর কিশোরী থেকে বয়স্করা। এক একজনের পছন্দ এক একরকম। সকলেই নিজেদের পছন্দের গান বাজাতে বলেন ডিজে-কে। সেই পছন্দের গান বাজানোকে কেন্দ্র করেই এবার এক বিয়ের আসরে হুলস্থুল কাণ্ড ঘটল।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন এক তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, দিন কয়েক তাঁর তুতো বোনের বিয়ে ছিল। আত্মীয়স্বজন, পরিজনরা তুমুল হুল্লোড় করছিলেন সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে। স্বাভাবিক নিয়মে, ঝঞ্ঝাট ছাড়াই বিয়ের পর্ব মিটে যায়। অশান্তি সৃষ্টি হয় বিয়ের রিসেপশনে।
সেই রিসেপশনে ডিজে যে গান বাজাচ্ছিলেন তা নিয়েই অশান্তি শুরু হয়। আচমকাই পাত্রের কাকা বলেন, পুরনো দিনের কিছু গান চালাতে। কিন্তু বিয়ের রিসেপশনে তেমন গান চালাতে রাজি হননি ডিজে। তার নিয়েই বচসা শুরু হয়। হঠাৎ রাগের মাথায় ল্যাপটপ বন্ধ করে ডিজে রিসেপশন ছেড়ে বেরিয়ে যান।
এরপর অশান্তি আরও বাড়ে। পাত্রপক্ষের কয়েকজন নিজেদের ফোনে গান চালিয়ে নাচানাচি করার চেষ্টা করছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন 'ব্রেকআপ সং' চালিয়ে দেন। যে গান শুনেই পাত্রের প্রাক্তন প্রেমিকার কথা মনে পড়ে যায়। তিনিই প্রথমে কেঁদে ফেলেন। তাঁকে কাঁদতে দেখে পাত্রীও কান্নাকাটি শুরু করেন। শুধুমাত্র একটি গানের কারণেই হুলস্থুল কাণ্ড হয় বিয়ের রিসেপশনে। যদিও পরবর্তীতে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের রিসেপশনে এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে যান আত্মীয়রা। ডিজের দুর্ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসেই বিয়ের আসরে প্রাক্তন প্রেমকে ঘিরে আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছিল। ধুমধাম করে বিয়ের আসর বসেছিল। হুল্লোড়ে মেতেছিলেন আত্মীয় থেকে আমন্ত্রিতরা। বিয়ের অর্ধেক আচার-অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়েও গিয়েছিল। ছ'পাক ঘোরার পর হঠাৎ একটি ফোন আসে পাত্রের ফোনে। এরপরই গাঁটছড়া খুলে ফেলেন তিনি। সাতপাক ঘোরার ঠিক আগের মুহূর্তে জানিয়ে দেন, এই বিয়ে তিনি করবেন না। যা ঘিরে তুমুল শোরগোল গোটা বিয়েবাড়িতে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের করৌলী জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার নাদোতি তালুকে বিয়ের আসরটি বসেছিল। চোখধাঁধানো আয়োজন ছিল সেখানে। ছ'পাক ঘোরার পর পাত্র কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপরই জানিয়ে দেন, তিনি বিয়ে করবেন না। পাত্রের এহেন আচরণে প্রথমে হকচকিয়ে যান সকলে। পাত্রীও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
দু'পক্ষের মধ্যে অশান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, পাত্র, তাঁর বাবা ও কয়েকজন আত্মীয়কে আটকে রাখে পাত্রীর পরিবার। বিয়েতে ৫৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন তাঁরা। পাত্রের শেষমুহূর্তের সিদ্ধান্তে আর্থিক ক্ষতি থেকে মানহানিও হয়েছে তাঁদের। সেই ক্ষতিপূরণের দাবি করেন সকলে।
শেষমেশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পঞ্চায়েত সদস্য, পুলিশ মধ্যস্থতার চেষ্টা করে। কিন্তু তারপরেও অশান্তি থামেনি। পাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, সম্ভবত ছ'পাক ঘোরার পর পাত্রকে তাঁর প্রেমিকা ফোন করেছিলেন। সেই ফোন পেয়েই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর আর সাতপাক ঘোরেননি।