• এক হাতে স্ত্রীর, আরেক হাতে প্রেমিকের কাটা মুণ্ডু, থানায় পৌঁছে যুবক বলল, 'কাজের কাজ করে ফেলেছি!' ...
    আজকাল | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক হাতে স্ত্রীর, অন্য হাতে ছিল তাঁর প্রেমিকের কাটা মুণ্ডু। ওই অবস্থাতেই থানায় হাজির ৪৮ বছরের এক যুবক। দুজনের মুণ্ডু কেটে খুনের ঘটনাটিও পুলিশের কাছে স্বীকার করে নেয়। এই ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচি জেলায়। ধৃত যুবকের নাম কোলনজি। সে পেশায় একজন কাঠের মিস্ত্রি। তার সন্দেহ ছিল স্ত্রী লক্ষ্মী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। থাংগারাসু নামের এক যুবকের সঙ্গে ৩৭ বছর বয়সি যুবতীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। 

    কাজের অজুহাতে কোলনজি বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল, হঠাৎ করে বাড়ি ফিরেই হাতেনাতে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে ধরবেন। কয়েক ঘণ্টা পরেই বাড়ি ফিরে আসে কোলনজি। বাড়ি ফিরেই দেখেন, ছাদে বসে থাংগারাসুর সঙ্গে গল্পে মশগুল লক্ষ্মী। তখনই রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুজনের উপর হামলা চালায় সে। একাধিকবার কোপ মারে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুজনের মুণ্ডু কেটে নেয়। 

    এরপর সাইকেলে মুণ্ডু ঝুলিয়ে ভেলোর থানায় পৌঁছয় কোলনজি। খুনের ঘটনাটিও স্বীকার করে নেয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি মুণ্ডুহীন দেহটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তারা। পুলিশ জানিয়েছে, দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। বর্তমানে ধৃত ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তার তিন সন্তান রয়েছে আত্মীয়দের কাছে‌। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্যেও পাঠানো হয়েছে। ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেও এমন এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিল বেঙ্গালুরু। হাতে ছিল স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু। দরদর করে ঘামছে যুবক। কাঁপতে কাঁপতে হাজির থানায়। যুবকের এই দশা দেখে শিউরে ওঠে খোদ পুলিশ। অবশেষে পুলিশের সামনেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করল যুবক। যা শুনেই চমকে ওঠেন সকলে। বর্তমানে পুলিশের জালে সে। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। আনেকাল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ২৬ বছরের মনসা। কয়েক বছর আগে শঙ্করের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। খুদে কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁদের। মনসা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত রয়েছে, তেমনটাই সন্দেহ করত শঙ্কর। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে পারিবারিক অশান্তির জেরেই মনসাকে খুন করে সে। তারপর কাটা মুণ্ডু নিয়ে থানায় যায়। 

    শঙ্কর পুলিশকে জানিয়েছে, ৩ জুন কাজের অজুহাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে‌। মনসাকে জানিয়েছিল, পরেরদিন সকালে ফিরবে। কিন্তু সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে আসে। মনসা বাড়িতে অন্য কারও সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে কিনা, তা দেখতেই বাড়ি ফিরেছিল। সেদিনেই দু'জনের তুমুল অশান্তি হয়। এরপর বাড়ি ছেড়ে চলে যান মনসা। 

    শুক্রবার আবার বাড়ি ফিরে আসেন মনসা। হেনস্থা করার জন্য শঙ্করকে ব্যাপক কটুক্তি করেন। তখনই আবারও ঝগড়া, ঝামেলা হয় তাঁদের। গতকাল রাতে মনসাকে মারতে মারতে খুন করে শঙ্কর। এরপর মুণ্ডু কেটে, সেটি নিয়ে থানায় পৌঁছয়। স্ত্রীকে সহ্য করতে না পেরেই যে খুন করেছে, তাও জানায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। শঙ্করকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। ঘটনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। 
  • Link to this news (আজকাল)