পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে পৌঁছল সরকারি অনুদানের চেক, শ্রীরামপুর-রিষড়ার কমিটিগুলিকে কী নির্দেশ পুলিশের?...
আজকাল | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্গাপুজো উপলক্ষে শ্রীরামপুর ও রিষড়ার পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ করা হল রিষড়া রবীন্দ্রভবনে। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের ৪৮৫টি এবং রিষড়ার ৮০টি পুজো কমিটিকে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, মহকুমা শাসক শম্ভুদীপ সরকার, চাঁপদানির পুরপ্রধান অরিন্দম গুঁইন, শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা এবং রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্র, উপ-পুরপ্রধান জাহিদ হাসান। এছাড়াও ছিলেন এই দুই পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।
পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, “পুজোর পাশাপাশি প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো এবং দর্শনার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পুজো সম্পন্ন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই বছর শ্রীরামপুরে পুজো কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে।”
চাঁপদানির পুরপ্রধান অরিন্দম গুঁইন বলেন, “পুজো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী এই অনুদান দিচ্ছেন।” রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্রের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুদানের ফলে বাংলার পুজোর মর্যাদা ও মাত্রা অন্য স্তরে পৌঁছেছে।”
এই উদ্যোগে পুজোকে আরও নিরাপদ, সংগঠিত এবং উৎসবমুখর করে তুলতে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিয়েও এ দিন আলোচনা হয়।
গত ৩১শে জুলাই চলতি বছরের জন্য পুজো অনুদান ঘোষমা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা ব্যানার্জির ঘোষণা অনুসারে এবার পুজোর অনুদানের অঙ্ক এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা। যা ২০২৪ সালে ছিল ৮৫ হাজার টাকা। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলে পুজো কমিটি গুলিকে ৮০ শতাংশ ছাড় ও পুজো কমিটি গুলি ফায়ার লাইসেন্স ফিও মকুবের ঘোষণা করেন মমতা ব্যানার্জি।
সেদিন পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, "বাংলার দুর্গাপুজো জাতীয় উৎসব, প্রাণের উৎসব। দুর্গাপুজোর বৈঠক নিয়ে অনেকে কোর্টে চলে যায়, অনেকে বলে দুর্গাপুজো-সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হয় না। এটা উৎসব, অনেকে কাজ পায়। ৪৫ হাজারটি বড় ক্লাবে দুর্গাপুজো হয়। ৫ অক্টোবর পুজো কার্নিভাল, ২, ৩ ও ৪ অক্টোবর বিসর্জনের দিন। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের যেন সমন্বয় থাকে। মহিলাদের নিরাপত্তায় নজর দিতে হবে।"
২০১৮ সাল থেকে রাজ্য সরকার দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়া শুরু করে। প্রথমে এর পরিমাণ ছিল ১০ হাজার টাকা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে বাড়তে এই বছর এক লক্ষ ১০ হাজার টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি, পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ বিলেও ছাড় দেওয়া হয়। সরকারের যুক্তি, এই অনুদান শুধুমাত্র উৎসবের আয়োজনে সাহায্য করে না, রাজ্যের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।