• নদীগর্ভে রাস্তা-জেটিঘাট, বিচ্ছিন্ন দুই জেলার সঙ্গে যোগাযোগ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ভাঙনের কারণে ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের নুরপুর জেটিঘাটের কাছে বাঁধের রাস্তা কার্যত হুগলি নদীর জলে তলিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি রায়চকের নুরপুর জেটি–সহ পরিবহন দপ্তরের ফেরি সার্ভিসের অফিসও জলের তলায় চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ফেরি চলাচল। এর ফলে হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার।

    কয়েকদিন আগে বিদেশি পণ্যবাহী একটি জাহাজ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নুরপুরে হুগলি নদীর ওই বাঁকে ধাক্কা মারে। এর জেরে মঙ্গলবার থেকে বাঁধ সংলগ্ন রাস্তায় ফাটল ধরতে শুরু করে। প্রায় ১২০ মিটার এলাকাজুড়ে ধস নামে। এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ধস কবলিত এলাকায় যাতে সাধারণ মানুষ পৌঁছতে না পারে সেই কারণে প্রশাসন এলাকা ঘিরে রেখেছে। এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সেচ দপ্তর, মহকুমা প্রশাসন ও কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের আধিকারিকরা। ধস কবলিত এলাকায় মেরামতির কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। উল্লেখ্য, এই জেটিঘাটের খানিকটা দূরে পোর্ট ট্রাস্টের একটি জেটি রয়েছে। সেই জেটিটি যাতে সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারেন সেই অনুরোধ করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেখানেও ভাঙনের জন্য রাস্তায় যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সমস্যার সমাধান করা হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।

    এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচ দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন বিধায়ক পান্নালাল হালদার। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। মাটি ফেলে বাঁধের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। মনে করা হচ্ছে, ২ সপ্তাহের মধ্যে মানুষ সেখান দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে পারবে। যদিও গাড়ি চলাচল আপাতত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)