বরুণ সেনগুপ্ত ও অয়ন ঘোষাল: ১০ সেপ্টেম্বর, বুধবার উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় উত্তর কলকাতায়। গুলু ওস্তাগর লেনে বটতলা থানার ও লাল বাজার থেকে পুলিস বেলা বারোটা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ির মালিক সরস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দফায় দফায় জেরা। ১১ জন নাবালিকাকে কোথা থেকে আনা হয়েছে? কী তাদের পরিচয়? সমস্তটাই জানার চেষ্টা করে পুলিস।
বিশ্বস্ত সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মানব পাচারচক্র চলে উত্তর কলকাতার ওই বাড়িতে। গতরাতে কলকাতা পুলিসের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট বটতলা থানার অন্তর্গত ৪এ , গুলু ওস্তাগর লেনে একটি অভিযান চালায়। অভিযানেই পুলিস ৯ কিশোরী, ২মহিলা-সহ মোট ১১ জনকে উদ্ধার করেছে। অভিযোগ, ওই বাড়িতে তাদের জোর করে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে ৬ জন অভিযুক্ত (৪ জন পাচারকারী ও ২ জন দেহব্যবসার আস্তানার মালিক) গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক আপত্তিকর সামগ্রী ও প্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহত্তর পাচার চক্রের সন্ধানে তদন্ত অব্যাহত। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিসি তদন্তে জানা যায়, ২০২৩ সাল থেকে এই বাড়িতে তারা থাকছেন। এলাকার লোকের সঙ্গে সেই ভাবে মেলামেশা করেন না এই পরিবার। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহন কুমার গুপ্তা জানান, এ সম্বন্ধে তার কিছু জানা নেই। তিনি আজকেই শুনছেন এই ব্যাপার। পুলিসের সঙ্গে কথা বলবেন। সঠিকভাবে যাতে তদন্ত হয় তিনি দেখবেন।
পুলিস জানিয়েছে, যে বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি স্বামী-স্ত্রী সরস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৭) ও অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৪৯) মালিকানাধীন। তারা নিজেদের বাড়ি থেকেই যৌন ব্যবসা চালাত বলে অভিযোগ। এছাড়া আরও চারজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নাম: সুমন হালদার (৩৪), পুজা মিস্ত্রি (২৮), দীপ চট্টোপাধ্যায় (২২) ও আকাশ চৌধুরী (২৫)। এরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিস।