• ‘তদন্তকারীদেরও তদন্তের আওতায় আসা উচিত’, সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলায় সায় সুপ্রিম কোর্টের
    প্রতিদিন | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও কখনও তদন্তকারীদেরও তদন্তের আওতায় আসা উচিত। বেনিয়মে অভিযুক্ত দুই সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে সায় দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, তদন্তকারীরা তদন্তের আওতায় আনলে সার্বিক সিস্টেমের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা অক্ষুণ্ণ থাকবে।

    মূল ঘটনা ২০০০ সালের। ২৫ বছর আগে দুই সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধ বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন দুই ব্যবসায়ী। সিবিআইয়ের তৎকালীন জয়েন্ট ডিরেক্টর নীরজ কুমার এবং ইনস্পেক্টর বিনোদ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বিজয় আগরওয়াল এবং শিশ রাম আগরওয়াল নামের দুই ব্যবসায়ী। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া, অবৈধ ভাবে নথি বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ উঠেছিল সিবিআইয়ের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। দিল্লি হাই কোর্ট আগেই তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল। এ বার সুপ্রিম কোর্টও সেই নির্দেশই বহাল রাখল।

    শীর্ষ আদালতের বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল এবং বিচারপতি পিবি ভারালের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, “সময় এসে গিয়েছে। কখনও কখনও তদন্তকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত। তবেই পুরো সিস্টেমের উপর জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ থাকবে।” সুপ্রিম কোর্ট বলছে, হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট যে এই ধরনের ঘটনা সিবিআইয়ের কার্যক্রমবিধির পরিপন্থী। এখন নিয়ম ভাঙাটা ইচ্ছাকৃত নাকি নিতান্তই ভুল, সেটা তদন্তসাপেক্ষ। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বা তাঁর থেকে উচ্চতর পদমর্যাদার কোনও আধিকারিককে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করাতে হবে।

    সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ বর্তমান প্রেক্ষিতে বেশ প্রাসঙ্গিক। ইদানিং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছে আকছার। অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো অনিচ্ছা সত্ত্বেও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার যদি তদন্তকারীরাও তদন্তের আওতায় চলে আসেন, তাহলে আগামী দিনে এই প্রবণতা কমতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
  • Link to this news (প্রতিদিন)