সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি পায়ের কাছে রেখে মঞ্চে বক্তব্য রেখে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি ক্ষমা চাইবেন না কেন? সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও বিধায়ক ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁদের কথায়, “বিজেপি কোনওদিনই বাঙালির নয়, বাঙালিকে সম্মান করে না। এই ঘটনা তারই প্রমাণ।”
সম্প্রতি তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যায়, একটি অনুষ্ঠানে সুকান্ত মজুমদার সাবলীলভাবে তাঁর পায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি রেখে দিয়েছেন। পায়ের কাছে দেখা যায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবিও। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তুঙ্গে বিতর্ক। একে তো সুকান্ত মজুমদার একজন বাঙালি। তার উপর আবার তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। আবার তিনি পেশাগত জীবনে একজন অধ্যাপক। তা সত্ত্বেও কীভাবে রবীন্দ্রনাথের ছবি পায়ের কাছে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে গেলেন, স্বাভাবিকভাবেই সে প্রশ্ন ওঠে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে এনিয়ে সরব হলেন কুণাল ঘোষ-ব্রাত্য বসুরা। তাঁদের কথায়, বিজেপি কোনওদিন বাংলা ও বাঙালিকে সম্মান করেনি। সুকান্ত মজুমদার ফের তা প্রমাণ দিয়েছেন। এরপরই কুণাল-ব্রাত্য প্রশ্ন তোলেন, এই ঘটনার পর কেন ক্ষমা চাইছেন না সুকান্ত। গেরুয়া শিবির অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে। এই ‘কীর্তি’ নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।