• গাড়িতে পড়ে নামকরা ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ! দিনের পর দিন হুমকি প্রেমিকার, মহারাষ্ট্রে মৃত্যু ঘিরে তীব্র রহস্য
    আজকাল | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  •  আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রে এক ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু। সোলাপুর জেলায় ঘটনাটি ঘটে৷ এই ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ৩৮ বছর বয়স বিবাহিত ব্যবসায়ী গোবিন্দ জগন্নাথ বারগে। তাঁকে মৃত অবস্থায় তাঁর গাড়ির ভিতরে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়৷ তবে পরবর্তীতে তদন্তে নতুন মোড় নেয়৷ খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় পুলিশ এক লাবণী নৃত্যশিল্পী পূজা দেবীদাস গাইকোয়াদকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। আর এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি সোলাপুর জেলার বারশি তালুকার সাসুরে গ্রামে ঘটে। সেখানে একটি গাড়ি সন্দেহজনকভাবে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা সন্দেহ প্রকাশ করেন৷ তাঁরা দেরি না করে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন। মঙ্গলবার সকালে বৈরাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ির ভিতরে গোবিন্দ বারগের মৃতদেহ উদ্ধার করে। গাড়ির ভিতর থেকেই একটি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে।

    খবর অনুযায়ী গোবিন্দ বারগে বীড জেলার বাসিন্দা এবং পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। বেশ নামকরা ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর দুইটি সন্তান রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পূজা গাইকোয়াদের সঙ্গে তাঁর একটি রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল। পূজা সাসুরে গ্রামের বাসিন্দা এবং পারগাঁও কালা কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত একজন লাবণী নৃত্যশিল্পী। সূত্র অনুযায়ী, গোবিন্দ পূজাকে সোনার গয়না ও একটি মোবাইল ফোন উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। এর মোট মূল্য প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। মৃত্যুর আগে তাঁদের মধ্যে প্রায়শই তর্ক-বিতর্ক হতো। সোমবার রাতে গোবিন্দ পূজার বাড়ির দিকে গাড়ি চালিয়ে যান বলে খবর মিলেছে৷ 

    ঘটনার পর গোবিন্দ বারগের শালা লক্ষ্মণ জগন্নাথ চবণ বৈরাগ থানায় একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজের। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, পূজা গাইকোয়াদ বারবার গোবিন্দকে অর্থের জন্য ব্ল্যাকমেল করতেন। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের মিথ্যা মামলার হুমকি দিতেন। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গোবিন্দ ও পূজার মধ্যে আর যোগাযোগ ছিল না। এর জেরেই পূজা তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেন। গোবিন্দ এই হুমকির কারণে মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত ছিলেন।

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পূজা গাইকোয়াদকে ভারতীয় দণ্ডবিধির আত্মহত্যায় প্ররোচনার ধারায় গ্রেপ্তার করেছে। তবে মৃতের পরিবার আত্মহত্যার তত্ত্বে সন্দেহ প্রকাশ করে দাবি করছে, এটি আত্মহত্যা নয় বরং ঠান্ডা মাথায় খুন। পুলিশ এখন সব দিক খতিয়ে দেখছে। এক্ষেত্রে খুনের সম্ভাবনাও সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিচ্ছে না।

    ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত জারি রয়েছে। আত্মহত্যা না খুন তা জানতে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ চলছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত পূজাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। দ্রুত এর জেরে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷
  • Link to this news (আজকাল)