বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে আগুন, বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা
আজকাল | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক। আউটডোর বিল্ডিংয়ের বাইরে বসানো এসি মেশিন থেকে হঠাৎ করেই ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। মুহূর্তে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। যা নিয়ে হাসপাতালে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আউটডোরে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যায় দমকলের দুটো ইঞ্জিন। ছুটে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। যদিও বড়সড় কোনও বিপদ হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অন্যান্যদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও হাসপাতালের আউটডোরে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের ভিড় ছিল। সেই সময় এসি মেশিন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ”বিধাননগর হাসপাতালে ওপিডির বাইরে বসানো এসি মেশিনে আগুন লেগেছিল। যদিও তা হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মীরাই নিভিয়ে দেন।” দমকলের আধিকারিক জানিয়েছেন, ”পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। আতঙ্কের কিছু নেই”। তবে কীভাবে ওই এসি মেশিনে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দমকলের অনুমান, কোনওভাবে তাপমাত্রার তারতম্য কিংবা অন্য কোনও কারণে এই ঘটনা হতে পারে। তা বিস্তারিত দেখা হচ্ছে। যদিও শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন নয় বলেই দাবি দমকলের। বলে রাখা প্রয়োজন, অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে একটি বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল। বহু মানুষ আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে আসেন। সেখানে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের গ্রিন বিল্ডিংয়ে আগুন। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ওই এলাকা। প্রায় আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলেন হাসপাতালের কর্মীরা। যদিও খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। ঘটনার কোনও হতাহতের খবর নেই বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন ধূমপানের পর কেউ কোনও জ্বলন্ত বিড়ি বা সিগারেটের টুকরো ফেলে দেওয়ায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ আচমকাই গ্রিন বিল্ডিংয়ের 'বেসমেন্ট' থেকে গলগলিয়ে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। এই বিল্ডিংয়ের একেবারে কাছেই রয়েছে হাসপাতাল সুপার -এর অফিস। রয়েছে অ্যাডিশনাল সুপার-এর অফিস। বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন তলায় তখন রোগী, চিকিৎসক ও রোগীর পরিজনদের ভিড়। আগুন ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে আশেপাশে সকলের চোখ জ্বলতে থাকে। দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন হাসপাতালের কর্মীরা। তাঁরা নিজেরাই হাত লাগান আগুন নেভানোর কাজে। শেষপর্যন্ত প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
জানা গিয়েছে, বেসমেন্ট-এর মধ্যে কিছু জিনিসপত্র ছিল। সেখানেই এই আগুন লাগে। এবিষয়ে হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, 'আমাদের সন্দেহ কোনও রোগীর পরিজন বা অন্য কেউ জ্বলন্ত বিড়ি বা সিগারেটের টুকরোর শেষাংশ ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ায় জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।' এই ঘটনার পর হাসপাতালের সব জায়গাতেই নজরদারি আরও জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে ওই আধিকারিকের সংযোজন, 'হাসপাতালের মধ্যে বিড়ি বা সিগারেট খাওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এর পরেও যদি কেউ এটা মাথায় না রাখেন তাহলে কিছুই বলার নেই। নজরদারি থাকলেও নিজেদের সচেতনতা সবার আগে।'