বাংলার দুই পরিবারকে বাংলাদেশে পাঠানো নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন হাইকোর্টের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুরারই ও পাইকরের দুই পরিবারকে। এই ঘটনার পরেই আইনি লড়াই শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, এই দুই পরিবার আদতে ভারতীয় নাগরিক, অথচ কোনও সুনির্দিষ্ট তদন্ত বা ডিপোর্টেশন অর্ডার ছাড়াই তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মামলার শুনানির এক্তিয়ার কলকাতা হাইকোর্টের নেই। তবে বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় জানান, এক্তিয়ার নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নয়, মূল মামলার সঙ্গেই বিষয়টি বিবেচিত হবে। পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। সেদিন এই মামলা কোনদিকে মোড় নেয়, সেদিকেই এখন নজর সকলের।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ঠিক কী প্রক্রিয়ায় ওই দুই পরিবারকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে, তা কেন্দ্রকে হলফনামার মাধ্যমে জানাতে হবে। সেই হলফনামা পাওয়ার পর রাজ্য সরকার ও মামলাকারীরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন। কেন্দ্রের আইনজীবী জানিয়ে দেন, তাঁরা নতুন করে কোনও হলফনামা জমা দেবেন না। কারণ, প্রাথমিক পর্যায়ে আদালতকে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই মামলার এক্তিয়ার কলকাতা হাইকোর্টের নেই।
মামলাকারীদের অভিযোগ, এফআরও-র পক্ষ থেকে কোনও ডিপোর্টেশন অর্ডার জারি হয়নি। পুলিশের একতরফা সিদ্ধান্তেই ২৪ জুন ওই দুই পরিবারকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২৫ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসককে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা।
রাজ্য সরকারের দাবি, বীরভূম জেলার এই দুই পরিবার সম্পর্কে আগেই তথ্য-প্রমাণ সহ বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই রিপোর্টের কোনও জবাব মেলেনি দিল্লি থেকে। এদিকে মামলাকারীদের অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টকে অন্ধকারে রেখে দিল্লির আদালতে মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্র, যা ডিপোর্টেশনের পরও জারি ছিল। এই পদক্ষেপ কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।