নারায়ণ সিংহ রায়: জেন জি-র (Gen-Z) আন্দোলনে জ্বলছে প্রতিবেশী দেশ নেপাল (Nepal Unrest)৷ তারই আঁচে মুহূর্তে বদলে গিয়েছে ভারত-নেপাল সীমান্তের (India Nepal Border) ছবিটা ৷ বাণিজ্য থমকে যাওয়ায় করোনাকালে যে থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, গত কয়েক দিন ধরে সেই একই ছবি ফিরে এসেছে ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি বর্ডারে।
৪-৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি
কী ছবি? আটকে রয়েছে কয়েকশো পণ্যবোঝাই ট্রাক৷ কয়েকটি ট্রাককে জরুরি ভিত্তিতে নেপাল থেকে ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হলেও ভারত থেকে নেপালে ট্রাক যাওয়ার ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর এই টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে প্রতিদিন গড়ে রফতানিতে দু কোটি এবং আমদানিতে ৪-৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ী মহল।
৫ দিন ধরে সীমান্তে আটকে
ব্যবসায়ী মহল আরও জানায়, প্রতিদিন ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি দিয়ে গড়ে প্রায় দেড়শো পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে নেপালে যায়। আবার নেপাল থেকে প্রায় প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি ট্রাক ভারতে পণ্য নিয়ে আসে। তবে, নেপালের বর্তমান পরিস্থিতির পরে সেই সমস্ত ট্রাক ৫ দিন ধরে সীমান্তে আটকে রয়েছে। বেশিরভাগ ট্রাকেই রয়েছে আলু, পটল, গ্যাস, মশলা, ওষুধ, চাল, ডাল, যন্ত্রপাতির মতো জরুরি সামগ্রী। অন্য দিকে, নেপাল থেকে পাইপ, প্লাস্টিকের ক্যান, প্লাইউড-সহ আরও কিছু দ্রব্যাদি আসে ভারতে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলি পারাপার করতে না-পারায় চিন্তায় ব্যবসায়ী মহল। রোজ বিপুল টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের ৷
ব্যাপক ধাক্কা
এই বিষয়ে কাস্টমস ক্যারিং এজেন্ট পান্নালাল চক্রবর্তী বলেন, নেপালের বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজকর্ম সমস্তটাই স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। কিছু গাড়ি নেপালের পার্কিংয়ে গিয়ে আটকে পড়ে রয়েছে। রেভিনিউ লসের কথা যদি বলা যায়, তাহলে বলতে হয়, এটা ব্যাপক ধাক্কা। দিনপ্রতি আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে তাহলে সীমাহীন ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। পাশাপাশি যেহেতু বিষয়টি আন্তর্জাতিক, তাই এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কিছু করা সম্ভব নয়। যা কবার কেন্দ্রকে করতে হবে। আমরা চাই, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে দ্রুত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। যদিও গতকাল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের মন্ত্রী ও রাজ্যপাল এসেছিলেন। তাঁরা পোর্টে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। দেখা যাক এখন কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়!