• মাতৃ-মৃত্যুর হার কমাতে উদ্যোগ
    আনন্দবাজার | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • কিছু দিন আগেই বালুরঘাটে জেলা হাসপাতালে আট প্রসূতি চিকিৎসাধীন থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তা নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়। স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দল এসেছিল। এ বার বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুর হাসপাতালে মাতৃ-মৃত্যু কমাতে ওই দুটি হাসপাতালের চারটি করে বিভাগের চিকিৎসকদের ‘ডিউটির তালিকা’ তলব করল স্বাস্থ্যভবন। সেই তালিকা সোমবার পাঠানো হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা দাবি করেন, বালুরঘাট হাসপাতালে স্ত্রী-রোগ বিভাগে চিকিৎসকদের মধ্যে একটি গা-ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    সম্প্রতি স্ত্রী-রোগ বিভাগ, শিশু বিভাগ, অ্যানেস্থেশিয়া এবং রেডিয়েলজি বিভাগের চিকিৎসকদের ডিউটির নথি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, ‘‘বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুর হাসপাতালের ওই বিভাগগুলির নথি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্যভবনে। বালুরঘাটে স্ত্রী-রোগ বিভাগে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। একটা গা-ছাড়া মনোভাব রয়েছে অনেকেরই।’’ কোন কোন চিকিৎসকের মধ্যে তা রয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি। গঙ্গারামপুর হাসপাতালের স্ত্রী-রোগ বিভাগে এই সমস্যা অনেকটাই কম বলে দাবি জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের। হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওয়ার্ড, জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, অন-কল, পরিবার পরিকল্পনা, অতিরিক্ত ঝুঁকির ক্লিনিকের মতো একাধিক বিভাগে দায়িত্ব পালন করার কথা স্ত্রী-রোগ বিভাগের চিকিসকদের। তা কি চিকিৎসকরা ঠিক মতো করছেন? সে দিকেই এ বার কড়া নজর রাখছে স্বাস্থ্য দফতর। যদিও, বালুরঘাট হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ এই দিন এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘আগে সমস্যা ছিল। এখন ততটা নেই। চিকিৎসকরা নিয়মিত ডিউটি করছেন।’’

    জেলায় মাতৃ-মৃত্যুর হার অবশ্য রাজ্যের হারের তুলনায় অনেকটা নীচেই রয়েছে বলে দাবি করেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। গত বছর প্রতি এক লক্ষে মাতৃমৃত্যুর হার জেলায় ছিল ৬৪ জন। চলতি বছরের দুটি ত্রৈমাসিক পার হওয়ার পর প্রতি ১০ হাজারে ৫ জন মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। জেলার দুটি হাসপাতালের ওই বিভাগগুলিতে চিকিৎসক পর্যাপ্ত বলেও দাবি করেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)