নয়াদিল্লি: বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল স্বাক্ষরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় রাষ্ট্রপতি ভবন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বয়ং। বিস্তারিত ব্যাখ্যাও চান। সেই প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স নিয়ে গত দশদিন ধরে ম্যারাথন শুনানি হয়েছে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। সওয়াল-জবাব শেষে এই মামলায় বৃহস্পতিবার রায়দান স্থগিত রাখল শীর্ষ আদালত।
তামিলনাড়ুতে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছিলেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে সরকারের সঙ্গে রাজভবনের বিরোধ গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত ৮ এপ্রিল সেই মামলায় বিল স্বাক্ষরের সময়সীমা বেঁধে দেয় বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ। রায়ে বলা হয়, অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিল ফেলে রাখা যায় না। তিনমাসের মধ্যে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই রায় নিয়েই ১৪টি প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যা চান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। গত ২২ জুলাই সেই প্রশ্নগুলি বিবেচনার জন্য গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই। গত দশদিন ধরে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত গ্রহণ করে সেই বেঞ্চ, প্রধান বিচারপতি নিজে যার অন্যতম সদস্য। শুনানিতে কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, বিলে স্বাক্ষরের জন রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না। অন্যদিকে ৮ এপ্রিলের রায়কে সমর্থন করে তামিলনাড়ু, কেরালা, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটকের মতো রাজ্য। তাদের মতে, এই রায় পুনর্বিবেচনার কোনও প্রয়োজন নেই। এরপরই রায়দান স্থাগিত রাখে সাংবিধানিক বেঞ্চ।