• শান্তিকুঠি ক্লাব ও ব্যায়ামাগারের পুজোয় এবারের থিম জ্যোর্তিময়ী
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, কোচবিহার: কোচবিহারের শান্তিকুঠি ক্লাব ও ব্যায়ামাগারের পুজোয় এবারের থিম ‘জ্যোর্তিময়ী’। বিরাট মণ্ডপ, ডাকের সাজের প্রতিমা আর মালবাজারের নয়াভিরাম আলো দিয়ে সাজানো হবে মণ্ডপ ও চারপাশের এলাকা। দীর্ঘকাল ধরে এই পুজোয় মণ্ডপ হতো দক্ষিণমুখী। এবার মণ্ডপের বিশালত্ব ও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে মণ্ডপ নির্মাণ করা হয়েছে পূর্বমুখী। বাঁশ ও লোহার কাঠামোর উপরে মূল মণ্ডপটি নির্মাণ করে তার ভিতরে গড়ে তোলা হচ্ছে অপূর্ব কারুকাজ। প্লাই, লোহা, ফাইবার ও আলোর কাজ থাকবে মণ্ডপের ভিতরে। থাকবে বিরাট ফোয়ারা। আলোর প্রতিফলনে মা এখানে হয়ে উঠবেন জ্যোর্তিময়ী। এবার ক্লাবের পুজো ৬১তম বছরে পা দেবে। বাজেট ২০ লক্ষ টাকা। মণ্ডপ নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এই ক্লাব সারা বছরই নানা জনহিতকর কাজে যুক্ত থাকে। পুজোর সময়ও তার ব্যতিক্রম হয় না। আর পুজোয় অষ্টমীর দিন পাড়ার সকলে একসঙ্গে অঞ্জলি ও নবমীতে খাওয়াদাওয়ায় মেতে ওঠেন। পাশাপাশি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

    শান্তিকুঠি ক্লাব ও ব্যায়ামাগারের সম্পাদক রাকেশ চৌধুরী বলেন, এবার আমাদের পুজোর থিম জ্যোর্তিময়ী। আলোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপের ভিতরে লোহা, প্লাই ও আলোর কাজ থাকবে। ডাকের সাজের প্রতিমা থাকবে।

    এই পুজো মণ্ডপের উচ্চতা ৬০ ফুট ও চওড়ায় ৮৫ ফুট। বিরাট আকারের মণ্ডপটি মাসখানেক ধরে নির্মাণ করা হচ্ছে। ফালাকাটার ডেকোরেটর এই মণ্ডপ নির্মাণ করছেন। এখানকার ডাকের সাজের প্রতিমা নির্মাণ করছেন খাগড়াবাড়ির বাপী পাল। বাইরের আলোকসজ্জার মাধ্যমে নানা বিষয় ফুটিয়ে তোলা হবে। চার দিনই চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে সারা কোচবিহার থেকে ছোট বড় শিল্পীরা অংশ নেবে।

    শান্তিকুঠি ক্লাব ও ব্যায়ামাগারের পুজো কোচবিহারের পুরনো সর্বজনীন দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। প্রতি বছরই বিভিন্ন থিমের পুজোর মাধ্যমে এই ক্লাব প্রচুর দর্শককে আকর্ষণ করে। নিত্যনতুন পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে তা ফুটিয়ে তোলা হয়। এবারও সেই উদ্যোগ চলছে। উদ্যক্তাদের দাবি, মণ্ডপের কাজ শেষ হলে পুজোর দিনগুলিতে এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)