• সুলতানটোলায় ব্যাপক ভাঙন, ঘর ছাড়ছেন গঙ্গাপাড়ের মানুষ, বিপদসীমার ২৯ সেমি উপর দিয়ে বইছে জল, জারি হলুদ সতর্কতা
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালিয়াচক ও মানিকচক: ফের দুই দশক আগের ভাঙনের স্মৃতি ফিরছে মোথাবাড়ি থানা এলাকার পঞ্চানন্দপুরের সুলতানটোলায়। দু’দশক আগে যেভাবে গঙ্গা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিল, সেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। হঠাত্ জলস্তর বৃদ্ধির জন্যই ভাঙন বলে জানিয়েছে সেচ দপ্তর।

    বৃষ্টির জেরে গঙ্গায় একদিনে ১৭ সেন্টিমিটার জল বেড়েছে গঙ্গায়। বৃহস্পতিবার নদীতে জলস্তর ছিল ২৪. ৯৮ মিটার। যা বিপদসীমার ২৯ সেমি উপরে। ফলে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    গত সাতদিন ধরে টুকটাক ভাঙন হলেও খুব একটা ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ছবিটা বদলাতে শুরু করে। পঞ্চানন্দপুরের সুলতানটোলার প্রায় দেড় কিমি এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। আতঙ্কে ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়া শুরু করছেন বাসিন্দারা।  

    স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু সরকার, আদিল শেখদের দাবি, সাতদিন টুকটাক ভাঙন চলার খবর প্রশাসনের কাছে ছিল। কিন্তু তা আটকানোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দ্রুত পদক্ষেপ নিলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। অবিলম্বে বাঁধের কাজ শুরু না করল বাসিন্দারা আন্দোলন শুরু করবেন।

    ভাঙন কবলিত এলাকার আরসাদ আলি শেখ, রাহুল শেখরা জানান, গভীর রাতে ভাঙন শুরু হয়। কিন্তু কেউ সেটা টের পাননি। ভোরের দিকে জমিতে যাওয়ার সময় ভাঙন হচ্ছে বুঝতে পারেন বাসিন্দারা। মুহূর্তের মধ্যে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বেশকিছু পরিবার ইতিমধ্যে নিজেদের বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র নিয়ে যেতে শুরু করেছেন। তাঁদের কথায়, প্রায় ১৮ বছর আগের স্মৃতি ফের ফিরে এসেছে। প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।

    কালিয়াচক ২ এর বিডিও সুপ্রতিম বসাক জানিয়েছেন, পঞ্চানন্দপুরে কয়েকদিন ধরেই ভাঙন চলছিল। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    এদিন এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সেচ দপ্তরের মালদহের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে নৌকা নিয়ে ভাঙন কবলিত বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেছেন মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। কোথায় কাজ করতে হবে, সেবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিবনাথ। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)