• মিড ডে মিলে শুধু নুন আর ভাত, অভিভাবকদের প্রতিবাদে বন্ধ রান্না
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: মিড ডে মিল রান্নার কর্মীরা টাকা পাচ্ছেন না। তাই ক’দিন ধরে পড়ুয়াদের পাতে জুটছিল নুন-ভাত। বৃহস্পতিবার মিড ডে মিল রান্নার কাজে নিযুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা উনুনে হাঁড়িই চড়ালেন না। এই ঘটনায় এদিন বানারহাট ব্লকের পূর্ব দুরামারির প্রামাণিকপাড়া বিএফপি স্কুলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে অবশ্য স্কুলের তরফে পড়ুয়াদের শুকনো খাবার বিলি করা হয়। শুক্রবারের মধ্যে মিড ডে মিলের সমস্ত টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে রান্না করা হবে বলে জানিয়েছেন গোষ্ঠীর মহিলারা। 

    প্রামাণিকপাড়া বিএফপি স্কুলে তিনজন শিক্ষক, ৫২ জন পড়ুয়া। অভিযোগ, ৭ মাস থেকে মিড ডে মিল রান্নার কাজে নিযুক্ত মহিলারা টাকা পাচ্ছেন না। ফলে কয়েকদিন ধরে নুন-ভাত খাইয়েই বাড়ি পাঠানো হচ্ছে পড়ুয়াদের। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, মেয়ের অসুস্থতার কারণে কয়েকদিন ছুটি নিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক তথা বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অরবিন্দ রায়। তাই এই ক’দিন বাজার না করায় এই সমস্যা হয়। 

    প্রধান শিক্ষক বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই আমি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরই মিড ডে মিলের সমস্ত দায়িত্ব নিতে বলি। কিন্তু তাঁরা রাজি হননি। কোনও কারণে মিড ডে মিলের বিল আটকে গিয়েছে। তার উপর ব্যাঙ্কে সমস্যা থাকায় টাকা তুলতে পারিনি। মেয়ের অসুস্থতার জন্য ১০ দিন ছুটি নিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে। শুক্রবার স্কুলে গিয়ে যেমনভাবেই হোক মিড ডে মিল কর্মীদের বিল মেটাব। 

    মিড ডে মিল কর্মী কবিতা বর্মন প্রমাণিক বলেন, সবজি ঠিকঠাক এনে দেওয়া হয় না। তাই আমরা ক’দিন ধরে নুন-ভাত খেতে দিয়েছি। এদিন অভিভাবকরা এসে বলেন নুন-ভাত দেওয়া চলবে না। আমরা সবজি কোথায় পাই। তাই এদিন রান্না বন্ধ রাখি। 

    ধূপগুড়ির পশ্চিম মণ্ডলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রাজদীপ সরকার বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে সমস্যা ছিল তা সামাধান করা হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)