সংবাদাতা, কাঁথি: সৈকতশহর দীঘার হোটেল-লজ ও রেস্তরাঁয় সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ফের অভিযান চালাল জেলা খাদ্যসুরক্ষা দপ্তর। এদিন দীঘার ১৫টি হোটেল-লজে ও রেস্তরাঁয় অভিযান চালায় নন্দীগ্রাম জেলা খাদ্যসুরক্ষা দপ্তর। পাশাপাশি দীঘা জগন্নাথ মন্দিরে ভোগ রান্নার কাজে যুক্ত রাঁধুনিদের প্রশিক্ষণ দেয় খাদ্যসুরক্ষা দপ্তর।
এদিন অভিযানে দপ্তরের কর্তারা লক্ষ্য করেন, সবগুলিই নামকরা হোটেল-লজ, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করছে না। এর মধ্যে অনেকগুলি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। যাঁরা খাবার তৈরি কিংবা পরিবেশন করছেন, তাঁদের খাদ্যসুরক্ষা সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই। খাদ্যের গুণগতমানের পাশাপাশি রান্নাঘরের সঠিক পরিকাঠামো রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হয়। বাসি খাবার পরিবেশন হচ্ছে কি না, সেগুলিও নজর দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি রেস্তরাঁয় খাদ্যসুরক্ষা বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ হাতেনাতে পান দপ্তরের আধিকারিকরা। তাদের সঙ্গে সঙ্গে নোটিশ ধরানো হয়। খাদ্যসুরক্ষা ও গুণমান আইন অনুসারে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, দপ্তরের কর্তারা সেবিষয়ে সচেতন করেন। জেলা খাদ্যসুরক্ষা আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্না বলেন, হোটেল-লজে আগত পর্যটকরা রেস্তরাঁ কিংবা খাবারের হোটেলগুলিতে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে না পড়েন, তারজন্য এই অভিযান। আগামীদিনেও এমন অভিযান চলবে। যে সমস্ত হোটেল-লজে খাদ্যসুরক্ষা বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এদিন জগন্নাথ মন্দিরের ৪০ জন মহিলাকে ভোগ রান্নার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ছিলেন জেলা খাদ্যসুরক্ষা আধিকারিক সহ অন্যান্যরা আধিকারিকরা। ভোগ রান্নার সময় রাঁধুনিদের কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, সেব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে লাইসেন্সের কাগজপত্র ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর দীঘায় পর্যটকদের জোয়ার এসেছে। মন্দিরের প্রসাদ পেতে পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ। রোজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেশ কয়েকবার জগন্নাথদেবকে ভোগ দেওয়া হয়। সেই সমস্ত রান্না করা পদ জগন্নাথদেবকে অর্পণ করার পর ভক্তদের উদ্দেশে বিতরণ করা হয়।
বর্তমানে খিচুড়ি প্রসাদ বিক্রিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই প্রসাদ খেয়ে যাতে সাধারণ মানুষ অসুস্থ হয়ে না পড়েন, তারজন্য এই ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন বলে জেলা খাদ্যসুরক্ষা আধিকারিক জানান। এদিন জগন্নাথদেবের রন্ধনশালাও পরিদর্শন করে দেখেন দপ্তরের আধিকারিকরা। এছাড়া আগামীদিনে কোন কোন সামগ্রীর প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলি আনারও নির্দেশ দেওয়া হয়। নিজস্ব চিত্র