• নেপালে অশান্তি, চোখের চিকিৎসা নিয়ে চিন্তায় জেলার অনেক রোগী
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তেহট্ট: অগ্নিগর্ভ নেপাল। অশান্ত পরিস্থিতির জন্য সেখানে আটকে পড়েছেন এরাজ্যের বহু পর্যটক। চোখের চিকিৎসায় নামডাক রয়েছে পাহাড়ী দেশের বহু হাসপাতালের। সেখানে চিকিৎসা করাতে যাওয়া বহু রোগীও অসহায় পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নেপালের বিরাটনগরে বিভিন্ন হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা করাতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করলেন তেহট্ট মহকুমার রোগীরা। তাঁদের কথায়, সামান্য খরচে উন্নতমানের চোখের চিকিৎসা হয় নেপালে। কিন্তু যা হিংসার ঘটনা দেখতে পাচ্ছি, তাতে ভয় লাগছে। এখানেই চিকিৎসা করিয়ে নেব। 

    তেহট্টের বেতাইয়ের এক ব্যক্তি জানান, তিনমাস আগে সামান্য খরচে ডাক্তার দেখানো এবং প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরে এসেছি। এখন ভালো আছি। এই মাসেই পুনরায় আবার চেকাপে যাওয়ার কথা, কিন্তু নেপালের অগ্নিগর্ভ অবস্থার মধ্যে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    তেহট্ট থানার মুক্তদহ গ্রামের বাসিন্দা সুনীলকুমার ঘোষ জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছিলাম। বিভিন্ন জায়গায় দেখিয়েছি, অনেক পয়সা খরচ হয়েছে। কিন্তু সমস্যা ঠিক হয়নি। নেপালের বিরাটনগর চক্ষু হাসপাতাল গিয়ে অনেক কম খরচে চিকিৎসা হয়েছে। এখন অনেক ভালো আছি। এ সপ্তাহে পুনরায় চেকআপে যাওয়ার কথা। অগ্নিগর্ভ অবস্থার কারণে আপাতত যাচ্ছি না।

    বেতাইয়ের পার্থপ্রতিম বিশ্বাস জানান, এই সপ্তাহে  যাব বলে ট্রেনের টিকিট করতে দিয়েছিলাম। কিন্তু নেপালের যা অবস্থা দেখছি, তাতে যাওয়া ঠিক হবে না, তাই টিকিট কাটতে বারণ করেছি। 

    দিলীপ জোয়ারদার বলেন, চোখের রেটিনা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। প্রত্যেক মাসে একবার করে চোখ পরীক্ষা করতে নেপাল যেতে হয়। ওখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, আর দু’-একবার আসলেই চোখের সমস্যা সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এমন অবস্থা হওয়ায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নেপালের এই সমস্যা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে আমার চোখের চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটবে। 

    তুষার সাধুখাঁ, শঙ্কর ঘোষ, সনৎ মণ্ডলরা জানান, ওখানে গরিবের জন্য খুব ভালো হাসপাতাল রয়েছে। সামান্য খরচে উন্নতমানের চোখের চিকিৎসা হয়। এই মাসের শেষের দিকে আমাদের চেকআপের ডেট আছে। আশা করছি, তারমধ্যে নেপালের পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
  • Link to this news (বর্তমান)