নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: আরটিও কর্মীর ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ। স্থানীয়দের তৎপরতায় তা রুখে দিল পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিযুক্ত আরিবুল্লা মণ্ডল (২৭)। তাঁর বাড়ি দেগঙ্গার দেবালয় এলাকায়। তাঁর কাছ থেকে আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকের অশোকস্তম্ভ দেওয়া একটি ভুয়ো কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। আজ, শুক্রবার তাঁকে বারাসত আদালতে তুলবে পুলিশ। এদিন বিকেলেই গোটা ঘটনার পুননির্মাণ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকি রোডের দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা মোড়ে সর্বক্ষণ ট্রাফিক পুলিশ সহ সিভিক ভলান্টিয়াররা ডিউটি করেন। এখানেই সাব-ট্রাফিক বুথ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আরিবুল্লা হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের চেকিং করছিলেন। আগে থেকেই আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকের জাল পরিচয়পত্র বানিয়েছিলেন তিনি। এদিন দুপুরে ওই এলাকা দিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন টুকাই সাধুখাঁ। তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না। আরিবুল্লা আটকান টুকাইকে। তিনি নিজেকে আরটিও কর্মী পরিচয় দেন। তাঁর কাছ থেকে বাইকের নথি দেখতে চান। হেলমেট না থাকায় তাঁর কাছ থেকে ফাইন নেওয়ার চেষ্টাও করেন তিনি। কিন্তু তাঁর কথা শুনে সন্দেহ হয় টুকাইয়ের। তিনি তখন তাঁর আই কার্ড দেখতে চান। পকেট থেকে আরিবুল্লা কার্ড বের করে দেখান। আর তাতে টুকাইয়ের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। ওই যুবককে নিয়ে বেড়াচাঁপা ট্রাফিক গার্ড বুথে নিয়ে আসেন বাইকচালক। পুলিশি জেরায় শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যান আরিবুল্লা। তাঁর কাছ থেকে একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাইক চালক টুকাই সাধুখাঁ বলেন, যুবককে দেখেই আমার সন্দেহ হয়েছিল। আমি পরিচয়পত্র দেখতে চাই। এরপর পরিষ্কার হয় যে, ওই যুবক আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের ভুয়ো আধিকারিক পরিচয় দিয়ে গাড়ি আটকে টাকা নেওয়ার ছক করেছিলেন। এদিকে দেগঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ভুয়ো কার্ড তিনি কোথা থেকে বানিয়েছিলেন, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কতজনের কাছে টাকা নিয়েছেন, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে ধৃত আরিবুল্লার সাফাই, তাঁর ভুল হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র