• ভেড়ির টাকা নিয়ে মারপিট, ধৃত তিন
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দীর্ঘদিন ধরে ভেড়ির লিজের টাকা দেননি তৃণমূল নেতা। এছাড়া একাধিক ক্ষেত্রে টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ তুলে ওই নেতার দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। যার জেরে দু’পক্ষের মারপিটে বুধবার রাতে দফায় দফায় তেতে ওঠে দেগঙ্গার হাসিয়া গ্রাম। দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলামের অনুগামীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় গ্রামবাসীদের। আহত হয়েছেন ফজলু রহমান, এমদাদুল বিশ্বাস সহ কয়েকজন। আহতদের চিকিৎসা চলছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গ্রামবাসীরা দেগঙ্গা থানায় বিক্ষোভও দেখান রাতেই। অভিযোগ দায়েরের পরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হল গোলাম মোস্তাফা মণ্ডল, আলি আকবর ও মহম্মদ জিয়াউর রহমান। বৃহস্পতিবার তাদের বারাসত আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা থানার দেগঙ্গা ১ পঞ্চায়েতের হাসিয়া গ্রামে মাছের ভেড়ির লিজের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। লিজের টাকার জন্য আগেও গ্রামবাসীরা সরব হয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। হাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফজলু রহমান সহ অনেকেই আইএসএফ করতেন। ২০২১-এর নির্বাচনের পর ফজলু সহ অনান্য আইএসএফ কর্মীরা এলাকাছাড়া ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁরা গ্রামে ফিরে আসে। অভিযোগ, আইএসএফ করার জন্য রবিউল ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের নেতারা এলাকায় ঢুকিয়ে তাদের কাছ থেকে ‘জরিমানা’ আদায় করে। পরে, ফজলু সহ অন্যান্যরা তৃণমূলে যোগ দেয়। ভেড়ির লিজের টাকা, জরিমানার টাকা চাইতে গিয়ে এদিন রবিউল ঘনিষ্ঠদের হাতে আক্রান্ত হন গ্রামবাসীদের কয়েকজন। দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়। গ্রামবাসী সাহির আলি বিশ্বাস বলেন, রবিউল ও তাঁর দলবল এলাকায় দাদাগিরি চালাচ্ছে। লিজের টাকা, জরিমানার টাকা চাইতে গিয়ে গ্রামবাসীরা আক্রান্ত হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি। অভিযোগ উড়িয়ে রবিউল বলেন, তৃণমূলের এক প্রবীণ সমর্থকের সঙ্গে আইএসএফের গণ্ডগোল হয় ২০২১ সালে। স্থানীয় নেতৃত্ব এবং গ্রামবাসীরা বসে মিটিয়েছিল। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে গ্রামবাসীদের কয়েকজন আইএসএফ ও তৃণমূলের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশ করে হামলা করেছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)