• পৌনে ৪ কোটি খোয়ালেন সল্টলেকের এক ব্যবসায়ী, ফেসবুকে আলাপ, তরুণীর কথায় বিনিয়োগ
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ফেসবুকে কয়েকমাসের আলাপ। মুখোমুখি হননি কেউই। অথচ, সেই ফেসবুক তরুণীর কথায় বিশ্বাস করে ভুয়ো ক্রিপ্টো কারেন্সি প্ল্যাটফর্মে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সল্টলেকের এক ব্যবসায়ী। কিছুদিন পরই ওয়ালেট ব্যালেন্স দেখায়, ১৭৮ কোটি টাকা! কিন্তু, সেই টাকা তুলতে গিয়ে বুঝতে পারলেন, ফেসবুকের তরুণী আসলে প্রতারক! কারণ, টাকা তুলতে দিয়ে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স চাইছিলেন ওই তরুণী। প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে পৌনে ৪ কোটি টাকা খোয়ালেন ওই ব্যবসায়ী। টাকা উদ্ধারের আশায় ওই প্রতারিত ব্যবসায়ী বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি সল্টলেকে। চলতি বছরের শুরুতে ফেসবুকে ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। বেশ কিছুদিন কথাবার্তার পর ওই তরুণী তাঁকে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন। তাঁকে জানান, সেখানে অস্বাভাবিক হারে রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ওই ব্যবসায়ী সরল মনে তা বিশ্বাসও করেন। তরুণীর কথায়, ১৭ জুলাই থেকে তিনি বিনিয়োগ শুরু করেন। ধাপে ধাপে তিনি নিজের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আরটিজিএসের মাধ্যমে মোট ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন। অতিরিক্ত লাভের আশায় তিনি বন্ধু এবং আত্মীয়দের কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন। সম্প্রতি, ওই ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্মের ওয়ালেট ইন্টারফেসে তাঁর বিনিয়োগ করা অর্থের ব্যালেন্স দেখানো হয়, ১৭৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। তাতে তিনি উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। ৮ সেপ্টেম্বর তিনি যখন কিছু টাকা তুলতে যান, তখন হঠাৎ করে প্ল্যাটফর্মের তরফে হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট টিম তাঁকে জানায়, লাভের ওপর ১৫% ট্যাক্স না দিলে টাকা তোলা যাবে না। তিনি প্রশ্ন করায়, তাঁর কাছে আরও অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়। কিছুতেই তিনি টাকা তুলতে পারছিলেন না। বিনিয়োগের অর্থও ফেরত পাননি। টের পান প্রতারকদের ফাঁদে পড়েছেন। তিনি ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন।
  • Link to this news (বর্তমান)