• দেবাংশুর খোঁজে গিয়ে তার মাকে মার, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গণধর্ষণ কাণ্ড: এখনও ফেরার চন্দনের বন্ধু
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘দেবাংশুর খোঁজ করতে গিয়ে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে পুলিশ। পরিচারিকার সামনেই আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন হরিদেবপুর থানার সাব ইনসপেক্টর।’— এবার পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন গণধর্ষণে অভিযুক্ত ফেরার দেবাংশু বিশ্বাসের মা বাসন্তী বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার এই মর্মে তিনি আইনজীবী মারফত লালবাজারে একটি অভিযোগপত্র জমা করেছেন। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমারের অফিস সেই অভিযোগ গ্রহণ করেছে। লালবাজার জানিয়েছে, অভিযোগের সারবত্তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    গত শুক্রবার রাতে দেবাংশুর জন্মদিনের পার্টির টোপ দিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত চন্দন মল্লিক। নির্যাতিতার অভিযোগ, চন্দন ও দেবাংশু দু’জনেই তাঁকে গণধর্ষণ করে। ঘটনার পর দুই বন্ধুর ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয়। তদন্তে নেমে চারদিন পর বুধবার ভোররাতে বর্ধমান স্টেশন থেকে চন্দনকে গ্রেপ্তার করে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। যদিও সেখান থেকে দেবাংশুকে পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি। এরপরেই তড়িঘড়ি লালবাজারে যান দেবাংশুর মা। তাঁর অভিযোগ, মিথ্যে মামলা ফাঁসানো হয়েছে ছেলেকে। এই ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে দেবাংশু কোনওভাবে জড়িত নয়। অভিযোগপত্রে প্রাথমিকভাবে এই বক্তব্যের পর তিনি নিজের উপর শারীরিক নির্যাতনের কথা পুলিশকে জানান। অভিযোগপত্রে বাসন্তীদেবীর দাবি, ‘ঘটনার পরের দিন আমার কাছে দেবাংশুর বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে আসে পুলিশ। সেই সময়ে আমি হরিদেবপুর বাজারে ছিলাম। আমার সঙ্গে পরিচারিকাও ছিল। তাঁর সামনেই প্রাথমিকভাবে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এরপরেই পুলিশের গাড়িতে তুলেই রিজেন্ট কলোনির ফ্ল্যাটে আমাকে নিয়ে যান হরিদেবপুর থানার তদন্তকারী অফিসার। সেখানেই আমাকে লাঠি দিয়ে মারা হয়। তাতে আমার ডানহাতে কব্জিতে চিড় ধরেছে’। অভিযোগপত্রের সঙ্গেই বাসন্তীদেবী মেডিক্যাল রিপোর্ট ও দেহে আঘাতের ছবি পুলিশকে জমা দিয়েছেন অভিযোগকারিণী। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ফেরার দেবাংশুর। তাঁর খোঁজে ইতিমধ্যেই ভিনজেলায় গিয়েছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। 
  • Link to this news (বর্তমান)