বিধানসভার গেটে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফের নিয়োগের দাবিতে উত্তাল রাজপথ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রাথমিক শিক্ষায় শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে বিধানসভা গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীরা। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সন্ধ্যার দিকে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েও তাঁরা বিভিন্ন দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, প্রাথমিকে প্রায় ৫০ হাজার শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে। এদিন তাঁরা বিক্ষোভের সময় সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন, আজই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা না হলে রাজপথ ছাড়া হবে না। অনেকেই মাঝরাস্তায় শুয়ে পড়ে স্লোগান তুলতে শুরু করেন। পুলিশ তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও বিক্ষোভ আরও তীব্র আকার ধারন করে।
অন্যদিকে, দুপুরে বিধানসভা অভিযানের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাকরিপ্রার্থীরা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়িতে গিয়েও বিক্ষোভ দেখান। মন্ত্রীর কালিন্দীর বাড়িতে গিয়ে ২০২২ সালে টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা দাবি করেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চান তাঁরা। দ্রুত নিয়োগের দাবি জানাতে চান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের বলেছেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শূন্যপদ জানালে ২০২২-এর প্রাথমিকের মোট শূন্যপদ বলবেন। খুব দ্রুতই তা জানানো হবে। তাঁদের প্রশ্ন, জেলাগুলিতে শূন্যপদ কত, তা জানাতে দু’বছরেরও বেশি সময় লাগছে কেন? জেলায় জেলায় প্রাথমিকে শিক্ষকের এত অভাব, অথচ তাঁদের কেন ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে না?
প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পরিকল্পিতভাবেই ধর্মতলায় জড়ো হয়েছিলেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা। সেখান থেকে আচমকাই তাঁরা বিধানসভার দিকে ছুটে যান। আচমকা এই পরিস্থিতিতে হকচকিয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা। তবে দ্রুত অতিরিক্ত বাহিনী এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। এই সময় বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। মুহূর্তে চারদিক জুড়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভের জেরে ধর্মতলা ও সংলগ্ন রাস্তাগুলিতে ভয়াবহ যানজট তৈরি হয়। অফিস টাইমে আচমকা এই বিক্ষোভে বিপাকে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।