আজকাল ওয়েবডেস্ক: সকালে ঘটা করে জেলা সভাপতির হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তখন সবই ঠিক ছিল। আসল ঘটনা ঘটল বিকেলে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই হাতে তুলে নিলেন বিজেপির পতাকা। জানালেন, ভুল বুঝিয়ে নাকি তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হয়েছিল। এই সমস্ত ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছেন বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের চিঙ্গানী গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ মল্ল। বুধবার সকালে গণেশ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। জানা গিয়েছে, রীতিমত ঘটা করে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক কার্যালয়ে তাঁর হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি সুব্রত দত্ত।
গণেশের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন আর এক বিজেপি নির্বাচিত সদস্য তারাপদ পালও। বিজেপি নির্বাচিত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ফলে ওই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল। কিন্তু আসল ঘটনা শুরু হয় বিকেলের দিকে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পাল্টে যায় ছবি। সন্ধ্যায় ফের বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন গণেশ মল্ল। ওন্দা ব্লকের রামসাগরে বিজেপির যুব সভাপতি কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি ফেরেন বিজেপিতে। তৃণমূলে যোগ দিয়ে গণেশ জানিয়েছিলেন, ‘বিজেপিতে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। তাই মানুষের উপকার করতে তৃণমূলে যোগ দিলাম’।
কিন্তু সন্ধ্যায় বিজেপিতে ফেরার পর তাঁর বক্তব্য রাতারাতি পাল্টে যায়। তিনি জানান, চাকরি এবং টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হয়েছিল তাঁকে। তিনি তৃণমূলে যোগও দিয়েছিলেন, কিন্তু নিজের ভুল বুঝতে পেরে বিজেপিতে ফিরে এসেছেন। গণেশ বিজেপিতে যোগদান করার পর বিজেপি নেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ভুল বোঝানো হয়েছিল। টাকার লোভ দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হয়েছিল’। পাল্টা দিতে ছাড়েননি তৃণমূলের জেলা সভাপতিও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুব্রত দত্তর বক্তব্য, ‘কাউকে জোর করে যোগদান করানো হয়নি। বিজেপির নৈরাজ্যে ক্ষুব্ধ হয়েই কর্মীরা তৃণমূলে আসছেন। তাঁরা নিজেরাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সে কারণেই দুই পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়’।