‘সংগঠন মজবুত না করলে কোনও দল পাত্তা দেবে না’, প্রদেশকে বার্তা এআইসিসির, রাজ্যে আসতে পারেন রাহুল
প্রতিদিন | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সংগঠন শক্তিশালী করুন, দলের ভিত মজবুত করুন। না হলে কোনও দলই পাত্তা দেবে না। প্রদেশ নেতৃত্ব তৈরি হলেই রাহুল গান্ধী বাংলায় এসে আপনাদের সঙ্গে পথে নামবেন। স্পষ্ট কথায় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে বলে দিয়ে গেলেন এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল। বুধবার রাতে তিনি কলকাতায় এসেছেন। বৃহস্পতিবার নিজের সংসদীয় কমিটির কর্মসূচি সেরে সন্ধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেসের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটিকে নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলে গোল টেবিল বৈঠকে বসেন বেনুগোপাল। দীর্ঘ কয়েক বছরে বাম-কংগ্রেস জোট এ রাজ্যে চর্চায় থাকলেও এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গেই যাননি বেনুগোপাল। বারবার সংগঠনকে রাজ্যজুড়ে মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন।
সবরকম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রতিটি বুথে দলকে একপ্রকার একা লড়াইয়ের মনাসিকতা রেখে শক্তিশালী হওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলে গেলেন। প্রদেশ নেতৃত্বের দাবি ছিল, রাহুল গান্ধী এবার কলকাতায় আসুন। রাজ্যজুড়ে তাঁকে নিয়ে কর্মসূচি দেওয়া হোক। এআইসিসি নেতার এর পরই বক্তব্য, রাহুল গান্ধী আসবেন। তিনিও চান। কিন্তু তাঁকে নিয়ে কর্মসূচি করলেই শুধু হবে না। তাঁকে এনে কর্মসূচি করে রাজ্যজুড়ে তার জের ছড়িয়ে সাংগঠনিক শক্তি দলের তৈরি করতে হবে। তার পরই রাহুল আসবেন। আর এলে তিনি বড় জনসভা করবেন। কালীপুজোর পর থেকেই ভোটের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ার কথা বলেছেন তিনি।
প্রদেশের একটি অংশের দাবি, কালীপুজোর পরই বড় কর্মসূচিতে রাজ্যে আসতে পারেন রাহুল। বেনুগোপাল ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক গোলাম মীর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ছাড়াও প্রায় ৬৫ জনের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য। পরে বেনুগোপাল বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “এটা সম্পূর্ণ পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নেতৃত্বের উপরই ছেড়ে দিয়েছি আমরা। তারাই এই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সব থেকে ভাল বোঝেন। ভোটের প্রস্তুতি তারাই নেবে। তারাই ঠিক করবে নিজেদের ভবিষ্যৎ। তাদের কথা শুনেই হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে।”
এসআইআর নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন, বিজেপি ভোট চুরি করেছে। প্রমাণিত। এখন জোর করে ভোটের আগে বৈধ ভোটার বাদ দিতে চাইছে। এটা নিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। কিছুদিন আগেই উপরাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছিল বিজেপি। ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ তুলে আপের এক সাংসদ-সহ বেশ কয়েকজনকে নিয়েই আশঙ্কার কথা বলেছেন। বেনুগোপালের বক্তব্য, “যারা ‘ইন্ডিয়া’র আদর্শে বিশ্বাসী তাঁরাই আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।”