• ‘কিছুই বদলায়নি যাদবপুরে…’, এখনও আক্ষেপ দু’বছর আগে মৃত পড়ুয়ার মা-বাবার
    এই সময় | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২০২৩ সালের ৯ অগস্ট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের জখম পড়ুয়াকে। পরের দিন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তার পরে দুই বছর পেরিয়েছে। আজও বিচার মেলেনি। ১১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার রাতে আরও এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার। মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা। ‘ছেলেমেয়েরা যাদবপুরে কি মৃত্যুবরণ করতে যাবে?’ প্রশ্ন তুললেন সেই পড়ুয়ার মা-বাবা।

    ছেলেকে হারানোর কষ্ট বুকে চেপে দিন কাটাচ্ছেন দু’জনে। বেঁচে থাকার স্বপ্নটুকু হারিয়েছেন দু’বছর আগে। ছেলে হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে কেন ঝাঁপ দিয়েছিল। কী হয়েছিল তার সঙ্গে? আজও উত্তর পাননি তাঁরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস যে র‍্যাগিং-এর ‘স্বর্গরাজ্য’ হয়ে উঠেছিল, বারবার তাঁরা সেই অভিযোগ তুলেছিলেন চার বছর আগে। আঙুল তুলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দিকেও। বৃহস্পতিবার রাতে টিভিতে ফের এক পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর পান তাঁরা। চোখের সামনে ভেসে ওঠে ছেলের স্মৃতি।

    মৃত পড়ুয়ার (দু’বছর আগে মৃত) বাবার কথায়, ‘যাদবপুরে কোনও শৃঙ্খলা নেই। আজও কিছুই বদলায়নি। বলা হয়েছিল, ৩৭ লক্ষ টাকা খরচ করে সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সেটা কি আদৌ হয়েছে? মফস্বলের কৃতি ছেলেমেয়েরা যাদবপুর কি শুধু মৃত্যুবরণ করতে যাবে?’

    প্রশাসনিক গাফিলতি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘রেজিস্ট্রার বা ভিসি সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বুঝতে পারবেন না, কারণ তাঁদের সন্তানরা তো আর যাদবপুরে পড়তে আসেনি। তাঁরা যদি এই রকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তেন, তা হলে পরিস্থিতিটা বুঝতে পারতেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির কোনও নিয়ম মানা হয় না। ইউজিসির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সব কিছু চলে দেশের এই নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে।’

    বৃহস্পতিবার রাতে পড়ুয়ার মৃত্যু কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয় বলেই দাবি তাঁর। ‘কোনও ছাত্রছাত্রী সেখানে জলে ডুবে মৃত্যুবরণ করতে যায় না। এর তদন্ত হওয়া দরকার, উত্তর কি মিলবে? কে জানে?’ প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    ২০২৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। নিহতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, বহিরাগত-সহ একাধিক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

  • Link to this news (এই সময়)