• রাতের কলকাতায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, গুলশান কলোনির নৈরাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
    এই সময় | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • একের পর একগুলি চালানো হচ্ছে। আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দিচ্ছেন অনেকেই। উত্তরপ্রদেশ বা বিহারের কোনও প্রত্যন্ত গ্রামের দৃশ্য নয়। খাস কলকাতাই এমন ছবি ধরা পড়ল। আনন্দপুরের গুলশান কলোনির ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এই ঘটনায় শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম মহম্মদ সাজিদ (২৯), আহমেদ হোসেন ওরফে মহম্মদ মধু (৪৩) এবং রাজা খান (৩৫)। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র।

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশান কলোনির অটো স্ট্যান্ডে শুরু হয় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। একের পর এক গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। কয়েকজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তবে ঠিক কী কারণে এই গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে, সে ব্যাপারে পুলিশের তরফে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ধৃতদের মধ্যে সাজিদের কাছ থেকে একটি ৭ এমএম পিস্তল এবং কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। মহম্মদ মধু এবং রাজার কাছ থেকেও অস্ত্র উদ্ধার হয়।

    বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার পরেই এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। নারকেলডাঙা এবং ক্যানেল রোড এলাকা থেকে এই তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

    গুলশান কলোনির এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘কলকাতার অপরাধ জগতের অন্ধকূপ হলো গুলশান কলোনি! এই কলোনিতে প্রচুর বাংলাদেশি মুসলিমরা এসে ঘাঁটি গেড়েছে। প্রায়শই ভিন্‌ রাজ্যের পুলিশ এসে ওই এলাকায় হানা দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে মাসের পর মাস লুকিয়ে থাকা বাংলাদেশিদের।’ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করে শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশ সব কিছু জেনেও নিষ্ক্রিয়, তাই নাগরিক সুরক্ষা বিঘ্নিত, অর্থনীতি অস্তাচলে।’

  • Link to this news (এই সময়)