ভারতে কমছে ইউটিউবারদের আয়, কারণ জেনে মাথায় হাত সকলের
আজকাল | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্তমান সময়ে বহু মানুষ ইউটিউবের সাহায্যে আয় করে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায় এই আয়ের পরিমান হয় অনেকটাই তবে অনেকেই হয়তো জানেন না ভারতে প্রতি ১ হাজার ভিউতে ইউটিউব আপনাকে কত টাকা দিতে পারে।
ভারতের বেশিরভাগ ইউটিউবার কমেডি, ভ্রমণ, ব্লগ, আর্থিক দিক এবং নানা ধরণের টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে ভিডিও করে থাকেন। এখানেই ইউটিউব বেছে নিয়ে সকলকে টাকা দিয়ে থাকে।
এখানে কস্ট পার মাইল হিসেব করে টাকা দেওয়া হয়। এটি প্রতি ১ হাজার ভিউতে দেখা যায়। এরপর রয়েছে রেভিনিউ পার মাইল। সেখানে ১ হাজার ভিডিও ভিউ হলে সেখান থেকে ৪৫ শতাংশ টাকা মেলে।
ভারতে এর মান অনেকটাই কম। ফলে সেখান থেকে ইউটিবাররা অনেকটা কম টাকা পান। সেখানে পশ্চিমী দেশে যাদের ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে তারা অনেক বেশি টাকা পান। সেখানে প্রতি ১ হাজার ভিউতে তারা ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা করে পান। সেখানে বিষয়টি কতটা ভাল তার ওপর টাকা আসে।
যদি বিনোদন এবং ব্লগ করা হয় তাহলে প্রতি ১ হাজার ভিউতে মেলে ২০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। যদি আর্থিক বিষয়, পড়াশোনা এবং শিক্ষার ভিডিও ১ হাজার ভিউ হয় তাহলে সেখানে ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পাওয়া যায়। এগুলি ভারতীয় হিসেব। তবে বিদেশে এর পরিমান অনেক বেশি থাকে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১১ হাজার ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করল গুগল। কেবল ২০২৫ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেই এতগুলি চ্যানেল বন্ধ করা হল চিন, রাশিয়ার মতো দেশগুলির তরফে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগে। সিএনবিসির সাম্প্রতিক রিপোর্ট ও গুগলের অফিসিয়াল ব্লগে এমনটাই জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৭০০ চিন এবং ২ হাজার ২০০ রাশিয়ার মদতপুষ্ট চ্যানেল।
জানা গিয়েছে, চিনের মদতপুষ্ট ইউটিউব চ্যানেলগুলি মূল চিনা ও ইংরেজি ভাষায় শি জিনপিংয়ের প্রশস্তি এবং মার্কিন বিদেশ নীতির নিন্দা করত। অন্যদিকে রাশিয়ার মদতপুষ্ট চ্যানেলগুলির কাজ ছিল ইউক্রেন, ন্যাটো ও পশ্চিমী দেশগুলির সমালোচনায় রাশিয়ার হয়ে সাফাই দেওয়া। পাশাপাশি মস্কো প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থাগুলির হয়েও কথা বলত এই সব চ্যানেল। বাকি চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে ইরান, আজারবাইজান, তুরস্ক, ইজরায়েল, রোমানিয়া ও ঘানার প্রশাসনের হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং ধর্মীয় ইস্যুতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে ইজরায়েল-গাজা ইস্যু যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে অভ্যন্তরীণ নির্বাচন।
সব মিলিয়ে এপ্রিল, মে ও জুনের হিসেবে হাজার হাজার চ্যানেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব। বহু ডোমেনকে গুগল নিউজে যাতে দেখানো না হয় সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট প্রোপাগান্ডা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সারা বিশ্বের সমস্ত ইউটিউব চ্যানেলের উপরই নজরদারি চালায় গুগলের ‘থ্রেট অ্যানালিসিস গ্রুপ’। এর আগে কেবল মে মাসেই গুগল ২০টি ইউটিউব, চারটি বিজ্ঞাপনী অ্যাকাউন্ট ও একটি ব্লগ বন্ধ করে দিয়েছিল।