আজকাল ওয়েবডেস্ক:যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু। জানা গিয়েছে, ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। এখনও ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, অধ্যাপকরা রয়েছেন। জানা গিয়েছে, এদিন ড্রামা ক্লাবের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনু্ষ্ঠানের পরেই এই ঘটনা ঘটে। সূত্রের খবর, রাত্রি দশটা সাড়ে দশটা নাগাদ যাদবপুর ইউনিভার্সিটির চার নম্বর গেটের সামনে পুকুরে ওই ছাত্রীকে ভাসমান অবস্থায় দেখা যায়।
বাকি ছাত্র-ছাত্রীরা ওই পড়ুয়াকে ওই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেই তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। তৎক্ষণাৎ অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে সিপিআর দিয়ে জল বের করার চেষ্টা করে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু লাভ হয়নি। হাসপাতালের তরফে ওই পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী যাদবপুরে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনও কিছুই জানা যায়নি।
এই ঘটনায় মুখ খুলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদও। টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, 'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে এক ছাত্রীর মৃত্যুর খবরে আমি শোকস্তব্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে ৪ নং গেটের কাছে এসএফআই ইউনিউন রুমের পাশে। এটি অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক। দু'বছর আগে স্বপ্নদীপের মৃত্যু দেখেছি, আজ আবার একজন। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানো ও স্থায়ী পুলিশ পোস্টিং আমাদের বরাবরের দাবী। এইগুলো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। যারা সিসিটিভি লাগানো ও পুলিশ পোস্টিং-এর বিরুদ্ধে, তারা এর দায়ভার এড়াতে পারে না। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহুর্তে স্থায়ী উপাচার্যের অভাবে কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছ। আমরা অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা মনোনীত স্থায়ী উপাচার্য্য চাই।'
ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। উল্লেখ্য, এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে উঠে এসেছিল ক্যাম্পাসে ব়্যাগিংয়ের নানা কাণ্ড। তারপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপত্তা বেড়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে হোস্টেলগুলিতেও। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর দাবি উঠেছে। কিন্তু তারপর ফের এই কাণ্ড ঘটল। রাতের অন্ধকারে পুকুর থেকে উদ্ধার হল তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ। কতক্ষণ ধরে ওই পড়ুয়ার দেহ ভাসমান অবস্থায় ছিল তাও কেউ বলতে পারেননি।
আদৌ এটি আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, জলে ডুবেই মৃত্যু নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা পরিষ্কার হবে ময়নাতদন্তের পর। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে ফের শিরোনামে উঠে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনায় মুখ খুলেছে শাসক দলও। তাদের দাবি, ইউনিয়ন রুমের পাশেই এতবড় একটা ঘটনা ঘটে গেল। ক্যাম্পাসে স্থায়ী পুলিশ পোস্টিং করা হোক জরুরি ভিত্তিতে।