• সংবিধানের অধিকার নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রশ্ন করতেই ছাত্রের সঙ্গে এ কী করলেন NIT দুর্গাপুরের ডিরেক্টর! হইচই...
    ২৪ ঘন্টা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • চিত্তরঞ্জন দাস: ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিয়ে পড়ুয়ার সরাসরি প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড: সুকান্ত মজুমদার। প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই উপস্থিত ডাইরেক্টর মাইক্রোফোন কেড়ে দেন। মুহূর্তে হলের ভিতর শুরু হয় হট্টগোল। ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র তরজা। কেউ বানিয়ে পাঠিয়েছে ওকে সাফাই কেন্দ্রীয়  প্রতিমন্ত্রীর। ভারতবর্ষের এই অবস্থা সেই জন্যই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ প্রকাশ কটাক্ষে তৃণমূল। 

    দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে শুক্রবার বিকশিত ভারত এবং আত্মনির্ভর ভারত নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের নিয়ে অনুষ্ঠান হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড: সুকান্ত মজুমদার সরাসরি আত্মনির্ভর ভারত এবং বিকশিত ভারত নিয়ে পড়ুয়াদের কাছ থেকে সমাধান জানতে চান। তখনই এক পড়ুয়া সুকান্ত মজুমদারের কাছে প্রশ্ন তোলেন, ভারতবর্ষের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার কোথায়? রাজস্থানে ছাদ ভেঙে সাত পড়ুয়ার মৃত্যুর উত্তর কোথায়? আরেক পড়ুয়া প্রশ্ন তোলেন, জাতি সংরক্ষণ নিয়ে। 

    বলতে থাকেন প্রশ্ন জানতে চাননি তিনি সমাধান জানতে চেয়েছেন। দরকার হলে তাদের একদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিলে তারা কি করবে? তবুও দুই পড়ুয়া কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সাথে কার্যত তর্কে জড়িয়ে পড়েন। আয়ুস বেনুয়া নামের পড়ুয়া বলেন, "ভারতবর্ষের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। রাজস্থানের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেই বিষয়ে আপনারা কি ভাবছেন। এই প্রশ্ন আমি করেছিলাম। কিন্তু কোন উত্তর পাইনি। উল্টে প্রতিমন্ত্রী রেগে গেলেন। আমার কাছ থেকে মাইক কেড়ে নিলেন ডিরেক্টর স্যার।" 

    পাল্টা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড: সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তোমার মৌলিক অধিকার কোথায় খনন করা হয়েছে? সে তো কিছুই বলতে পারল না। কেউ বানিয়ে পাঠিয়েছে হয়তো। জাতিসংরক্ষণ বিষয় সাংবিধানিক ব্যাপার। কেউ মাইক লাগিয়ে বললে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করবে।" 

    কটাক্ষ করে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন,"উনি বলছেন কোন রাজনৈতিক দল পাঠিয়েছে। যে পড়ুয়া প্রশ্ন তুলেছিল সেই পড়ুয়া তো বিজেপি শাসিত রাজ্যের। আসলে সঠিক অধিকার ভারতবর্ষের মানুষ পাচ্ছে না তারই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মন্ত্রীর সামনে করেছে। আর রেগে যাওয়ার বিষয় কিছু নেই। মানুষই ভোট দিয়ে সাংসদ করেছেন ওনাকে। মানুষের কথা না শুনলে ওঁরও পদ যাবে।"

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)