শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে উধাও বিজেপির মণ্ডল সভাপতি! বাধ্য হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন স্ত্রীই। পাশাপাশি ওই বিজেপি নেতার প্রেমিকার স্বামীও ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁর দাবি, একবার নয়, তিনবার পালিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতিতে।
জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতার নাম সোমনাথ দাস। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ সুতির মহেসাইল ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য মৌমিতা দাস দাবি করেন, প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সোমনাথ। মাস দু’য়েক আগেই নাকি রাজশ্রী ওরফে প্রিয়াঙ্কা দাস নামে ওই প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান বিজেপি নেতা। মৌমিতার দাবি, বহু জায়গায় ঘুরে বিচার চাইলেও মেলেনি সমাধান। মৌমিতার প্রশ্ন, “ছোট সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে কীভাবে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করতে পারে কেউ?”
এদিকে সোমনাথের বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী ক্ষুদিরাম দাস ওরফে ভোলা। ক্ষুদিরামের কথায়, “গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হওয়ার সুবাদে সোমনাথের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। ওর জন্য ভোটে আমরা খেটেছিলাম। কিন্তু সেই সূত্র ধরেই সোমনাথের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যায় স্ত্রী। ছয় বছরের সন্তানকে রেখে হঠাৎ পালিয়ে যায়। আমি ওকে আর ফিরিয়ে নেব না।” তাঁর আরও দাবি, “এই নিয়ে তৃতীয়বার পালিয়েছে আমার স্ত্রী। সন্তানের কথা ভেবে আগে তাঁকে ফিরিয়ে নিলেও আমরা তাঁকে আর বাড়িতে ঢুকতে দেব না।”
অন্যদিকে মৌমিতা এবং ভোলার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে সোমনাথের অভিযোগ, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। রাজশ্রী নামে ওই মহিলা কোথায় আছেন তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন সোমনাথ। পাশাপাশি নিজের স্ত্রী মৌমিতার বিরুদ্ধেই পরকীয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। হাই কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ভোলার বিরুদ্ধে বধুনির্যাতনের অভিযোগ করেছেন সোমনাথ। অভিযুক্তের দাবি, তিনি শুধুমাত্র সাহায্য করেছেন প্রিয়াঙ্কাকে। যদিও বিষয়টি সম্পূর্ণ পারিবারিক ব্যাপার বলে এড়িয়ে গিয়েছে বিজেপি।