সাঁতার না জেনেও জলে নামেন মদ্যপ অনামিকা! যাদবপুরের ছাত্রীমৃত্যুতে বন্ধুদের দাবি নিয়েও প্রশ্ন
প্রতিদিন | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অর্ণব আইচ: ছাত্রী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের চর্চায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল বৃহস্পতিবার রাতে? পুলিশের দাবি জিজ্ঞাসাবাদে মৃতার বন্ধুরা জানিয়েছেন, ঝিলপাড়ে বসে মদ্যপান করছিলেন তাঁরা। সাঁতার না জানা সত্ত্বেও অনামিকা মদ্যপ অবস্থায় ঝিলে নেমে তলিয়ে যান। বন্ধুরা চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। সত্যিই কি তাই? নাকি মদের আসরে বচসা বা নিছক মজা করেই ঝিলে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল অনামিকাকে? উত্তর পেতে মৃতার বন্ধুদের টানা জেরা করছে তদন্তকারীরা।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঠিক কী জানিয়েছেন মৃত অনামিকা মণ্ডলের বন্ধুরা? তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী তাঁরা জানান, বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। রাতের দিকে ঝিলপাড়ে বসেছিলেন ৫ বন্ধু। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন অনামিকা। সকলে মিলে মদ্যপান করেন। এরপরই জলে নামার ইচ্ছে প্রকাশ করেন সকলেই। পুলিশি জেরায় বন্ধুদের দাবি, অনামিকা নাকি বলে, ‘গরম লাগছে, আমি জলে নামব।’ বন্ধুরা জানত তিনি সাঁতার জানেন না। তাই স্বাভাবিকভাবেই বারণ করেন। কিন্তু ঝিলে জল বিশেষ না থাকায় এতবড় বিপদের আশঙ্কা করেনি কেউ। আচমকাই নাকি ঝিলে নামেন অনামিকা। মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুরা বোঝেন তিনি তলিয়ে যাচ্ছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে মৃতার বন্ধুরা দাবি করেন, তাঁরা অনামিকাকে বাঁচাতে জলে নামেন। তুলে আনেন বন্ধুকে। কিন্তু ততক্ষণে অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন অনামিকা। চিৎকার করে তাঁরা লোক ডাকে। খবর দেওয়া হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। সঙ্গে সঙ্গে অনামিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কিন্তু বন্ধুদের দাবি কতটা সত্য তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশও। সত্যি কি অনামিকা নিজেই নেমেছিলেন জলে? সত্যিই কি বন্ধুরা বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল? নাকি অশান্তির জেরে অথবা মজা করতে তাঁরাই অনামিকাকে ঠেলে দিয়েছিল জলে? উত্তর পেতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মৃতা আদৌ মদ্যপান করেছিলেন কি না, তা জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই।