অর্ণব আইচ: এসএসসি গ্রুপ ‘সি’ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় চার্জগঠন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী-সহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়েছে। শুক্রবার আলিপুর আদালতে সেই শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়ে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বললেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। তাঁকে রেহাই দেওয়া হোক।
শুক্রবার এসএসসি দুর্নীতির মামলায় শুনানি ছিল। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় হাসপাতাল থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন পার্থ। শুনানি কিছুটা এগোতে বিচারক অভিযুক্তদের প্রতি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিংহ (মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন উপদেষ্টা), কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের (মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি) সাহায্যে নিয়োগে যে বেনিয়ম হয়েছে, তাতে আপনাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হল।” ভার্চুয়ালি হাজির পার্থ বলে ওঠেন, “আমার কিছু বলার আছে। আমি নির্দোষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি প্রতিহিংসা নিতে নেমেছে। আমার সামাজিক সম্মান আছে। বাঁচানোর দায়িত্ব আদালতের।”
বিচারক বলেন, “সাক্ষী হবে, তখন বলবেন।” পার্থ জানান, “সাক্ষীর দরকার নেই। আমাকে বলতে দিন। সাড়ে তিনবছর ধরে আমি বন্দি। আমি মন্ত্রী ছিলাম। ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি করেছি। আমি অসহায়। আমি ডক্টরেট। এভাবে চললে আগামিদিনে বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা থাকবে না। আমায় মুক্ত করুন।” পার্থ আরও দাবি করেন, তিনি কারও চাকরির জন্য সুপারিশ করেননি। যাঁরা যোগ্য তাঁদেরই ডাকা হয়েছিল।
শুনানির সময় উঠে আসে এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এসএসসি আধিকারিক পর্ণা বসুরও নাম। তাঁকে পদ থেকে সরিয়েছিলেন পার্থ। সেই কথা তুলে বিচারক বলেন, “রিশাফল হয়েছিল। সরানো হয়েছিল একজনকে। অ্যাডভাইসর বদল করারও অভিযোগ আছে।” সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।