অর্বাংশু নিয়োগী: ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্রাক্তন সেনাদের ধরনা মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী। 'ভবিষ্যতে এমন হলে আদালত কঠোর পদক্ষেপ নেবে রং না দেখেই', রাজ্য়ে বিরোধী দলনেতাকে এবার সতর্ক করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন শুনানিতে প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের পক্ষে আইনজীবী বলেন, 'তিনি(শুভেন্দু অধিকারী) গিয়েছিলেন, কিন্তু স্টেজে ওঠেননি। তিনি যখন জানতে পারেন যে নেতারা থাকতে পারবেন না। তখনই চলে যান'। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, 'আপনারা বলেছিলেন সবাই অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মী। তাঁদের কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগ থাকতেই পারে। আপনাদের আর্মি ইস্যু ছিল এজেন্ডা। কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা ছিল না'।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'আদালতের সঙ্গে জাগলারি করলে সমস্যা আছে। আপনারা যখন কোর্টে আসছেন। অবসর প্রাপ্ত আর্মীদের ওপর আমার সহানুভূতি আছে। তাহলে কেন নির্দেশ মানছেন না'। বিচারপতির সাফ কথা, 'আদালত এই মুহূর্তে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ভবিষ্যতে এমন হলে আদালত কঠোর পদক্ষেপ নেবে রং না দেখেই। সেটা তারা শাসক হোক বা বিরোধী'।
ঘটনার সূত্রপাত ১ সেপ্টেম্বর। সেদিন ধর্মতলায় মেয়ো রোডে তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ খুলে দেয় সেনা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার ভারতীয় সেনার সমালোচনাও করেন তিনি। প্রতিবাদে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের একাংশ। কবে? গতকাল, বৃহস্পতিবার।
এদিকে পুলিসের অনুমতি না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। অনুমতি মেলে। তবে হাইকোর্টে শর্ত ছিল, কোনও রাজনৈতিক নেতা থাকতে পারবেন না ধরনা মঞ্চে। কিন্তু শুধু যাওয়াই নয়, প্রাক্তন সেনা কর্মীদের ধরনা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানাও করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছে রাজ্য। আজ, শুক্রবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।