‘ভোটচুরি বন্ধ না হলে ভারতেও নেপাল হবে’, অখিলেশের মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক
প্রতিদিন | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটচুরি ইস্যুতে বিস্ফোরক সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। নির্বাচন কমিশন ও বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে শুক্রবার সপা সাংসদ ইঙ্গিত দিলেন, ভোটচুরি বন্ধ না হলে নেপালের মতো পরিস্থিতি ভারতেও তৈরি হতে পারে। রাস্তায় নামতে পারে জনতা। অযোধ্যা বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির জয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে অখিলেশের দাবি, এই নির্বাচনে ৫০০০ লোককে বাইরে থেকে এনে ভোট দেওয়ানো হয়েছে।
শুক্রবার অখিলেশ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের উচিত ভোট যাতে চুরি না হয় তা নিশ্চিত করা। কমিশনকে ভোটচুরি ও ডাকাতি রুখতে হবে। কুন্দারকি, রামপুর, মীরাপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের কথা উল্লেখ করে সপা সভাপতি বলেন, যখন ওরা ভোটচুরি করতে পারেনি তখন রিভলভার বের করে ভোট বন্ধ করেছে।” এরপরই অযোধ্যা উপনির্বাচনের কথা তুলে ধরে অখিলেশ বলেন, “অযোধ্যাতে ৫০০০ মানুষ বাইরে থেকে এসে ভোট দিয়েছেন। একজন মন্ত্রীর সহযোগী ধরা পড়েছিল। আমার বক্তব্য স্পষ্ট যদি এভাবে ভোট ডাকাতি চলতে থাকে, তাহলে এখানকার মানুষও প্রতিবেশী দেশগুলির পথে হাঁটতে পারে। দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে পড়তে পারেন।”
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর নেপালে নিষিদ্ধ হয় ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া। এমন সিদ্ধান্তেই বেজয় ক্ষেপে ওঠে নেপালের ‘জেন জি’। সোমবার হাজার হাজার প্রতিবাদী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান। রাতের মধ্যে তা হিংসাত্মক চেহারা নেয়। এরপর মঙ্গলবার আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ে। মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে শুরু করে সমস্ত সরকারি দপ্তরে আগুন লাগানো হয়। চাপের মুখে ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রী ওলি-সহ পুরো সরকার। এর আগে বাংলাদেশেও একইরকম ঘটনা ঘটেছিল। কোটা সংস্কার অন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে সেখানকার জনতা।
প্রসঙ্গত, গত ৭ আগস্ট ভোটার তালিকা তুলে ধরে ভুয়ো ভোটার সংক্রান্ত একগুচ্ছ অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, মোট ছ’রকম ভাবে ভোটচুরি হচ্ছে। এমনকী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি নির্বাচন কমিশনের সাহায্যে বহু আসনে ভোটচুরি করে জিতেছে বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতা। গত মাসে লাগাতার এই অভিযোগে সরব হয়েছেন রাহুল। এমনকী ভোটমুখী বিহারে ভোট অধিকার যাত্রাও করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। রাহুলের অভিযোগের জবাব দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে কমিশন। ‘ভোটচুরি’র মতো আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে নাম না করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে তুলোধোনা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এবার ভোটচুরিকে কেন্দ্র করে ভারতেও তেমন ঘটনা ঘটার ইঙ্গিত দিলেন সপা সাংসদ।