নেপাল থেকে বাংলায় ঢোকার চেষ্টা ৪ অনুপ্রবেশকারীর! পানিট্যাঙ্কিতে আরও কড়া নজরদারি এসএসবির
প্রতিদিন | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: অশান্ত নেপাল। বিভিন্ন জায়গা থেকে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনার খবর এসেছে। বুধবার নেপালের বিভিন্ন জেল ভেঙে উধাও ১৫ হাজারের বেশি অপরাধী। পলাতকদের মধ্যে অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসে গা ঢাকা পারে। এই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভারত-নেপাল সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এই আবহে নেপাল থেকে চারজন নদী পেরিয়ে বাংলায় আসার চেষ্টা করছিল। তাদের সেই দেশেই ফেরত পাঠিয়েছেন এসএসবি জওয়ানরা।
সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি) মহিলা জওয়ানদেরও। বাণিজ্য রুট, ট্রাফিক রুট, চেক-পোস্টগুলোতে ‘হাই এলার্ট’ জারি হয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচ পলাতক বন্দিকে উত্তর প্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলার ভারত-নেপাল সীমান্তের ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় আটক করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পানিট্যাঙ্কি ও পশুপতি সীমান্তে ওই ঘটনা এড়াতে কড়াকড়ি আরও বেড়েছে।
বুধবার থেকে দেশের ২৫টি জেল ভেঙে ১৫ হাজারেরও বেশি অপরাধী পালিয়েছে বলে খবর। জলেশ্বরে জেল ভেঙে উধাও হয়েছে কয়েকশো কয়েদি। নৌবাস্তার বাঁকে জেলখানায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি বাগে আনতে সেখানে গুলি চালায় পুলিশ। পাঁচ বন্দির মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত দশজন। সংঘর্ষের মধ্যে সেই জেল থেকে পালিয়েছে দুশোর বেশি বন্দি। ওই খবর মিলতে ভারত-নেপাল সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে নেপালের জেল ভেঙে পালিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করতে গেলে পাঁচ অপরাধীকে আটক করেছে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)। উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলার ভারত-নেপাল সীমান্তে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় ওই অপরাধীদের এসএসবি জওয়ানরা আটক করে। পশ্চিমবঙ্গের পানিট্যাঙ্কি এলাকার ভারত-নেপাল সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। এদিন নেপাল থেকে মেচি নদী পেরিয়ে খড়িবাড়ি এলাকা দিয়ে চারজন ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল। সেসময় এসএসবি জওয়ানদের সেই ঘটনা নজরে আসে। জওয়ানরা ফের তাদের নেপালে পাঠিয়ে দেন।
সীমান্তে আরও কড়া নজরদারি এখন চলবে বলে প্রশাসনসূত্রে জানানো হয়েছে। প্রশাসনিক তরফে উচপর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে ইতিমধ্যে। ভারত-নেপাল সীমান্ত উন্মুক্ত। সেখানে কাটাতারের বেড়া নেই। যাতায়াত অবাধ। ওই সুযোগ নিয়ে নেপাল থেকে পালিয়ে আসা বন্দিরা ভারতে ঢুকে গা ঢাকা দিতে পারে এমনটাই শঙ্কা এসএসবি এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। ওই কারণে বৃহস্পতিবার থেকে ভারত-নেপাল সীমান্তে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে তল্লাশি চলছে। ভারতে প্রবেশকারীদের পরিচয়পত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।