অর্ণব দাস, বারাসত: ভরদুপুরে ভরা মেট্রো স্টেশনে খুন স্কুলপড়ুয়া। কোন আক্রোশে বন্ধুর শরীরে একের পর এক ছুরির কোপ? নেপথ্যে রয়েছে প্রণয়ঘটিত কারণ নাকি অন্য কিছু? এখনও পর্যন্ত ঘটনা সম্পর্কে ধন্দে পুলিশ। নিহত পড়ুয়ার ঘটনাস্থলে থাকা তিন বন্ধুর সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছে পুলিশ। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। মিসিং লিংকের খোঁজে মেট্রো স্টেশন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
শুক্রবার ঘটনার খবর পাওয়ার পরই বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি সাউথ অনুপম সিং দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে যান। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, “শ্যামবাজার থেকে মেট্রো ধরে আসে ওই স্কুলপড়ুয়ারা। মেট্রোতে তর্কাতর্কি হয়। নামার পর ফের বচসা হয়। মেট্রো স্টেশন থেকে বেরনোর সময় টিকিট কাউন্টারের সামনে ছুরি দিয়ে হামলা চালায় পড়ুয়া। তারপর সে পালিয়ে যায়। বাকিরা হাসপাতালে নিয়ে যায় মনোজিৎকে।” কী নিয়ে তর্কাতর্কি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মূল অভিযুক্তের খোঁজেও চলছে তদন্ত।
প্রসঙ্গত, নিহত মনোজিৎ যাদব বাগবাজার বয়েজ স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনা করত সে। বরানগরের এসপি ব্যানার্জি রোড এলাকার বাসিন্দা। ছোট থেকে ওই এলাকায় বেড়ে ওঠা তার। প্রতিবেশী রমেশ যাদব বলেন, “খুব ভালো ছেলে। কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা করত না।” ‘অভিশপ্ত’ দুপুরের ঘটনার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে ওই প্রতিবেশী আরও বলেন, “স্কুলে কি হচ্ছে না হচ্ছে, কিছুই জানতাম না। ওরা চারজন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় ব্যাগে থাকা ছুরি বের করে চালিয়ে দেয়। কীভাবে যে হল, তা জানি না। এই ঘটনার পর দু’জন ওকে উদ্ধার করে। বাকিরা পালিয়ে যায়।” স্বাভাবিকভাবেই স্কুলছাত্রের বাড়িতে নেমেছে শোকের ছায়া। ভেঙে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।