• ‘আদর করি আমার ক্ষুধাকে’, বেহালার এই পুজো মেলাবে গাজা ও তেতাল্লিশের মন্বন্তরকে
    প্রতিদিন | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সুলয়া সিংহ: ‘আজ পুজোতে আলো জ্বলে, কিন্তু ক্ষুধার অন্ধকার ভুলে যাওয়া যায় না।’ এভাবেই সমকালীন অথবা চিরকালীন এক অন্ধকার মিশে গিয়েছে ‘বেহালা ফ্রেন্ডস’-এর হীরকজয়ন্তীর বর্ষের পুজো ভাবনায়। উৎসবের আলোর রোশনাইয়ের ভিতরে, দেবীর আরাধনার নেপথ্যে যেন চালচিত্রের মতো জেগে রয়েছে এই ভাবনা- ‘দুর্গা মানে শুধু আনন্দ নয়, দুর্গা মানে প্রতিরোধ’। এই সব পঙক্তিগুলি ২০২৫-এর শারদ আয়োজনের থিম ‘নবান্ন’-কেই প্রতিফলিত করছে। আর এমন সব উচ্চারণের সমান্তরালে যুক্ত হয়েছে গাজার নামা হাসানের কলমের স্পর্শও। বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার স্রোত যেন এভাবেই মিশিয়ে দিয়েছে এই বাংলার তেতাল্লিশের মন্বন্তর ও আজকের দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজাকে।

    কথা হচ্ছিল শিল্পী প্রদীপ দাসের সঙ্গে। এবারের পুজোর ভাবনা, পরিকল্পনা ও নির্মাণ তাঁরই। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে তিনি জানাচ্ছেন, ”দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যে মন্বন্তর হয়েছিল বাংলায়, তার ছবি ধরা আছে বিজন ভট্টাচার্যের ‘নবান্ন’ নাটকে। সামান্য সময় পরেই সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখছেন, ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়/ পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।’ আবার চিত্তপ্রসাদ, জয়নাল আবেদিনরা ছবি আঁকছেন একই বিষয় নিয়ে। এটাই আমাদের পুজোর থিম। যুদ্ধ আমরা কীভাবে দেখছি এখন, আর দুই প্রজন্ম আগে যুদ্ধ কেমন ছিল সেটাই দেখানোর চেষ্টা করেছি।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)