৬ সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে ডিএলএড’দের
বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিজ্ঞপ্তি জারির সময়ে দু’ বছরের ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ না হলেও চাকরি পাবেন। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় শুক্রবার ফের জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ছ’ সপ্তাহের মধ্যে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশের ফলে প্রাথমিকে ২ হাজার ২৩২ পদে শিক্ষক নিয়োগে এবার রাজ্য সরকারও উদ্যোগ নেবে বলেই এদিন জানিয়ে দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত। যদিও গত ৩ এপ্রিল শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেও কেন এতদিন নিয়োগ হয়নি, তা নিয়ে রাজ্যকে আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
বিচারপতি পি নরসিমা এবং বিচারপতি অতুল এস চান্দুরকরের বেঞ্চে ছিল শুনানি। সম্ভাব্য শিক্ষকদের আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া আদালতকে জানান, রাজ্য সরকার নির্দেশ মানছে না। আদালত অবমাননা হচ্ছে। তখনই জয়দীপবাবু বলেন, আসলে আমরা শূন্য পদগুলির হিসেব করছিলাম। তাই বিলম্ব। নিয়োগ আমরা করবই। যদিও গত চার মাসেও নিয়োগ না হওয়ায় বিচারপতি নরসিমা শুনানির পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট যা নির্দেশ দেবে তা সরকারকে মানতেই হবে।’
প্রাথমিকে সহকারী-শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ১১ হাজার ৭৬৫ শূন্যপদে নিয়োগ। চাকরি পেতে যোগ্যতা দু’ বছরের ডিএলএড কোর্স এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর। পাশ করতে হয় টেট (টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট)। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা অংশ নেয়। নিয়োগও হয় ৯ হাজার ৫৩৩ জনের। কিন্তু সমস্যা শুরু হয়, ২০১৪ সালে টেট পাশ কিন্তু বিজ্ঞপ্তি জারির সময় ডিএলএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ না হওয়া প্রার্থীদের নিয়ে। কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।