নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘কেন বারবার একই বিষয় নিয়ে মামলা? অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে এত ধোঁয়াশা কীসের?’ শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার। যদিও আবেদনকারী বিকাশ পাত্র সহ অন্যদের পরীক্ষায় বসারও অনুমতি মিলল না। বিচারপতি অলক আরাধেকে পাশে রেখে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার জানিয়ে দিলেন, দাগী তথা অযোগ্যদের কোনওভাবেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে না। আবেদনকারীদের অযোগ্য বলেই বিবেচনা করল সুপ্রিম কোর্ট।
কিন্তু আবেদনকারীদের দুই আইনজীবী মুকুল রোহতগি এবং পার্থসারথি দেব বর্মন বলেন, কিন্তু একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষকতার চাকরি করা আমাদের মক্কেলদের তো পরীক্ষায় বসার জন্য অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছিল। আগামী রবিবার পরীক্ষা। কিন্তু আচমকাই নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীরা খালি খাতা জমা দেয়নি। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরেও সুযোগ পায়নি। তাহলে তারা দাগি তথা অযোগ্য হল কী করে? আদালত তো অন্তত আমাদের কথা শুনবে।
যদিও কমিশনের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওরা অযোগ্য। তাই নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। তখনই বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, তালিকা নিয়ে এত ধোঁয়াশার কী আছে? সিবিআই তো অযোগ্যদের তালিকা দিয়েছিল। তারপরেও কেন এত অস্বচ্ছতা? একই মামলা বারবার ভিন্নভাবে আসছে সুপ্রিম কোর্টে? মামলা খারিজ। কোনওভাবেই অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। কমিশন যদি ভুলবশত কারও নাম যোগ্য তালিকাতেও দেয়, কিন্তু অন্য কেউ তা নজরে আনে, তাহলেও সেইসব নাম বাদ যাবে। পরীক্ষায় বসতে পারবে না।
অন্যদিকে, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের বিরুদ্ধে আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অয়নের সংস্থা পুর নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআরের দায়িত্বে ছিল। সিবিআই তাঁকে প্রেপ্তার করে। তবে ২০২৩ সাল থেকে তাঁকে আটকে রাখার কথা জানিয়ে জামিনের আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি নরসিমা এবং বিচারপতি অতুল এস চান্দুরকরের বেঞ্চ। শুনানির পর্যবেক্ষেণে বিচারপতি নরসিমা বলেন, ‘ওএমআর শিটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলেই অভিযোগ। হাজার হাজার যুবকের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ফলে এত সহজে ছেড়ে দেওয়া যায় না।’