• শুধু রাজধানীর জন্য নয়, শব্দবাজি নিয়ে সর্বভারতীয় নীতি থাকা উচিত
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: দেশের ‘অভিজাত’ ব্যক্তিরা বসবাস করেন বলে শুধুমাত্র রাজধানী দিল্লির জন্য আলাদা দূষণ নিয়ন্ত্রণ নীতি থাকতে পারে না। দেশের প্রতিটি মানুষের দূষণমুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকার রয়েছে। রাজধানীতে শব্দবাজি নিষিদ্ধ করা নিয়ে একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছিল। সেই সময় প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, যদি জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) বাসিন্দাদের দূষণমুক্ত বাতাসের অধিকার থাকে, তাহলে অন্য শহরের বাসিন্দারা কেন সেই সুবিধা পাবেন না? তিনি বলেন, ‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত যদি কোনও নীতি থাকে, তাহলে তা সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে। আমরা শুধু দিল্লির জন্য নীতি তৈরি করতে পারি না।’ এই নিয়ে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)-এর কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

    এদিন শুনানি চলাকালীন অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি জানান, শব্দবাজির বিকল্প হিসেবে ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ তৈরি করা যায় কি না, তা নিয়ে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এনইইআরআই) সঙ্গে আলোচনা চলছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এনইইআরআইয়ের রিপোর্টও বিচার করে দেখা হবে। 

    দিল্লিতে শব্দবাজি নিষিদ্ধ করা নিয়ে গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। আবেদনে বলা হয়, দিল্লি ও এনসিআরে শব্দবাজি তৈরি, বিক্রি, মজুত ও পরিবহণ নিষিদ্ধ করা হোক। পাল্টা বাজি ব্যবসায়ীরাও নিষেধাজ্ঞা খারিজ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। তবে, তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেই সময় শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, কাজের জন্য যাঁদের রাস্তায় থাকতে হয়, তাঁরা দূষণের সবচেয়ে বড় শিকার। সকলের পক্ষে বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

    এদিন এক আইনজীবী জানান, প্রতি বছর দিল্লিতে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। শীতকালে তো শ্বাস নেওয়াই দায়। প্রধান বিচারপতি জানান, গত বছর গুরু পরবের সময় তিনি অমৃতসরে গিয়েছিলেন। সেখানকার বায়ুদূষণ দিল্লির থেকেও ভয়াবহ। তাই এনিয়ে সর্বভারতীয় নীতি তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। যদি দিল্লিতে শব্দবাজি নিষিদ্ধ হয়, তাহলে তা সারা দেশেই হওয়া উচিত। আগামী 

    ২২ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)