আরও একটি পঞ্চায়েত হাতছাড়া, পদ্ম শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান প্রধানের
বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: কোচবিহারে ফের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির। বাম আমল থেকে বিজেপি করলেও এখন দলের সেই পুরনো নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব ও সম্মান দেওয়া হয় না। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিজেপির দখলে থাকা মাথাভাঙার-২ ব্লকের রুইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশ্বিনীদেবী সিংহ। প্রধান তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপির হাতছাড়া হয়ে তৃণমূলের দখলে এল।
শুক্রবার দুপুরে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা পার্টি অফিসে দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত থেকে দলীয় পতাকা নেন রুইডাঙার প্রধান অশ্বিনীদেবী সিংহ। পঞ্চায়েত ভোটে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৩টি আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে ছিল ১৩টি ও তৃণমুলের দখলে ছিল ১০টি আসন। লোকসভা ভোটের পর বিজেপির দুই সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এবার প্রধান জোড়াফুলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের ১৩ ও বিজেপির ১০ জন সদস্য হল। সেই সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতটিও বিজেপির হাতছাড়া হয়ে তৃণমূলের দখলে এল।
পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহার জেলায় ১২৮টির মধ্যে ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে যায়। কিন্তু লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসনে বিজেপি পরাজিত হতেই জেলাজুড়ে পদ্ম শিবিরে ভাঙন শুরু হয়। দলে দলে বিজেপি কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে পদ্ম শিবিরের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান, উপ প্রধান ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে শুরু করেন। কোচবিহার জেলায় বিজেপির দখলে থাকা ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে অর্ধেকের বেশি হাতছাড়া হয় এই সময়ে। শুক্রবার বিজেপির দখলে থাকা আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল পদ্ম শিবিরের। ফলে এখন জেলায় মাত্র ছ’টি অঞ্চল বিজেপির।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে রুইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশ্বিনীদেবী সিংহ বলেন, বিজেপিতে দুর্দিনে যাঁরা দলের জন্য কাজ করেছিলেন তাঁদের এখন কোনও গুরুত্ব ও সম্মান নেই। তাছাড়া এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আমি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।
তৃণমূলের কোচবিহারের জেলা সভাপতি বলেন, ওই অঞ্চলের দু’জন সদস্য আগেই আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এদিন প্রধানও আমাদের দলে যোগ দিলেন। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েতটি আমাদের দখলে এল। পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় বিজেপি মাত্র ২৪টি পঞ্চায়েতে জিতেছিল। তারমধ্যে এখন মাত্র তাদের দখলে ছ’টি রয়েছে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন বলেন, প্রধানের ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে উনি তৃণমূলের ফাঁদে পা দিয়েছেন। তৃণমূল চক্রান্ত করে তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিয়েছে। নিজস্ব চিত্র