সংবাদদাতা, কাটোয়া: মঙ্গলকোটের বনকাপাশি গ্রামে শোলাশিল্পীরা তৈরি করছেন বিশালাকার শোলার দুর্গা। প্রতিমা পাড়ি দেবে উত্তরবঙ্গে। মাটির ছোঁয়া ছাড়াই শোলা দিয়ে গড়ে উঠছে দেবী দুর্গা, গণেশ-কার্তিক ও লক্ষ্মী-সরস্বতী। প্রতিমা পনেরো ফুট উঁচু ও বাইশ ফুট চওড়া। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত আশিস মালাকারের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় শোলার দুর্গাপ্রতিমা এবারে মন জয় করতে চলেছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির মানুষের।
শুধু আকারে বড়ই নয়, নিখুঁত কারুকাজও প্রতিমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ১৯৯০ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামেশ্বর ভেঙ্কটরমনের হাত থেকে পুরস্কার পেয়েছিলেন আশিসবাবু। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে দু’টি জাতীয় পুরস্কার। রয়েছে শিল্পগুরু সম্মানও। উত্তরবঙ্গের এক পুজোর উদ্যোক্তাসের থেকে লক্ষাধিক টাকার বরাত এসেছিল তাঁর কাছে। প্রায় দু’ মাস ধরে চলছে শোলা কেটে দুর্গা প্রতিমা গড়ে তোলার কাজ।
শিল্পী আশিস মালাকার বলেন, এটা শুধু প্রতিমা নয়, একরকম চ্যালেঞ্জ। চাইছি উত্তরবঙ্গের মানুষ এই শোলার প্রতিমা দেখে মুগ্ধ হবেন। জলপাইগুড়ির ওই পুজো মণ্ডপের ভিতরেও থাকবে শোলার কারুকাজ। নারায়ণের দশরূপ, ঝাড়বাতি থেকে শুরু করে যাবতীয় সাজসজ্জা সবই তৈরি হচ্ছে শোলা দিয়ে। আরেক শোলাশিল্পী অভিজিৎ মালাকার বলেন, আমাদের কাছে এটা শুধু কাজ নয়, গর্ব। প্রতিমার প্রতিটি খুঁটিনাটি নিখুঁত করে করার চেষ্টা করছি। বনকাপাশির শোলাশিল্পের সুনাম রয়েছে। প্রতিবছর এখানকার শিল্পীরা দেশজুড়ে মণ্ডপসজ্জা কিংবা প্রতিমা তৈরির জন্য ডাক পান। শোলার সূক্ষ্ম কারুকাজেই তাঁরা বাঁচিয়ে রেখেছেন বাংলার এক অমূল্য ঐতিহ্য।-নিজস্ব চিত্র