• হিলকার্ট রোডে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও চারজন
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহার করাই কাল হল। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ডিজিটাল যুগেও মোবাইল ফোন সহ প্রত্যেক ধরনের গ্যাজেট থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল হিলকার্ট রোডের সোনার দোকানে ডাকাতি কাণ্ডের দুষ্কৃতী দলের একাংশ। তবে ঘটনার পর তিন মাস কেটে যাওয়ার পর খানিকটা আশ্বস্ত হয়ে গোপন ডেরা থেকে বের হয়ে মোবাইল ব্যবহার করতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল ডাকাত দলের চার সদস্য। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাজনিশ কুমার ওরফে সোনু, রোহিতকুমার সিং, শুভম কুমার এবং অলক কুমার। শিলিগুড়ি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। এদের মধ্যে সোনু এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। ধৃতদের চারজনই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিল না। তবে দলের মাস্টারমাইন্ড সনু উত্তরপ্রদেশের আলিগড় এলাকায় গিয়ে মোবাইল চালু করতেই পুলিশের র‌্যাডারে পড়ে যায়। পুলিশের একটি দল ওই এলাকাতে আগে থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছিল। তারা দ্রুত গিয়ে সোনুকে গ্রেপ্তার করে। এরপরই তাকে জেরা করে বিহারের বৈশালী জেলার বিদুপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাকিদের। তাদের হেফাজত থেকে ৫৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। গত জুন মাসে হিলকার্ট রোডের একটি জুয়েলারি দোকানে ঢুকে ১১ কোটি টাকার বেশি সোনা নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী দল। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার হয়েছিল দুই দুষ্কৃতী। এরপর শিলিগুড়ির পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল আরও ছ’দুষ্কৃতীকে। এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল আরও চার দুষ্কৃতী। এনিয়ে ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখনও অধরা সোনা, রুপো সহ একাধিক ধাতু। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদেরকে শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জেরা করে বাকি সোনা উদ্ধার করতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি রাকেশ সিং বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাকি দুষ্কৃতীদের ধরতে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিলাম। এরপরেই আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে সোনু ঘটনার সময় দোকানের ভিতরে ছিল। এছাড়াও বাকিরা ঘটনার সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত।
  • Link to this news (বর্তমান)