পশ্চিম মেদিনীপুরে অবৈধ বালি ও মাটি থেকে ১০ কোটি রাজস্ব আদায়
বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: অবৈধ বালি ও মাটি থেকে ১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। পুজোর আগে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আদায় হওয়ায় খুশি পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বেআইনি বালি ও মাটি ধরতে শেষ কয়েক মাসে ৭০০টি অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই জেলায় বেআইনি বালি ও মাটি ধরতে ২৪ ঘণ্টা চেকিং চলছে। কয়েক মাসে শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে ফাইন বাবদ ৩ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আসা বালি বোঝাই গাড়িতে বেশি অনিয়ম দেখা যাচ্ছে। এদিন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে। বেআইনি কাজ করলে কাউকে ছাড়া হবে না। আমি নিজেও অভিযানে যাচ্ছি। প্রসঙ্গত, বর্তমান রাজ্য রাজনীতিতে বালি নিয়ে ব্যাপক চাপানউতোর রয়েছে। অবৈধ বালি কারবার নিয়ে বেশি আক্রমণ করেছে বিরোধী দলগুলি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও নির্বাচনের আগে বালিকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলের এই জেলা কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে এসেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বৈধ বালি খাদানের সংখ্যা ১৬টি। তার মধ্যে দাঁতন ব্লকে ৬টি, কেশিয়াড়ি ব্লকে ২টি, মেদিনীপুর সদর ব্লকে ৩টি, কেশপুর ব্লকে ৩টি, ডেবরা ব্লকে ১ টি ও গড়বেতা-২ ব্লকে ১টি। অবৈধ খাদানের খবর এলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে সামনের বছর বৈধ বালি খাদানের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। অপরদিকে, বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাটিও উদ্ধার করেছে প্রশাসন। মেদিনীপুর সদরের বাসিন্দা শ্যামল জানা বলেন, বালি চুরির পরিমাণ অনেক কমেছে। এই ব্যবসা লাভজনক বলে অনেকেই নামছেন। বেআইনি বালির গাড়ি ধরলে লক্ষ টাকা ফাইন করায় অনেকেই এই কারবার থেকে হাত গুটিয়ে নিচ্ছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, বেআইনি বালি ও মাটি থেকে যত টাকা জরিমানা বাবদ আদায় হয়েছে, তারচেয়ে অনেক বেশি বালি পাচার হচ্ছে। সেই বালি পাচারের পিছনে রাজ্যের শাসক দলের এবং প্রশাসনের একাংশ জড়িত। সেই কারণেই কোটি কোটি টাকার বালি ও মাটি পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে রয়েছে। সেই কারণেই ইডি হানা দিয়েছে।